ঢাকা: আমানত বিমা ট্রাস্ট তহবিলের প্রিমিয়াম আদায় ও হিসাব ডিজিটাল করার লক্ষ্যে ইনফর্মেশন ফর ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম অ্যাসিসমেন্ট(আইডিআইপিএ) নামের সফটওয়্যার চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর ফলে বিমাযোগ্য প্রত্যেক আমানতের হিসাবসহ প্রিমিয়াম নির্ধারণ বিবরণ ম্যানুয়্যাল পদ্ধতির পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হবে।
মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে গভর্নর ড. আতিউর রহমান সফটওয়্যারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা রাজি হাসান, নাজনীন সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক আব্দুল হকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ভরসাস্থল। ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থের নিরাপত্তা দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব। ‘ব্যাংক আমানত বিমা আইন ২০০০’ এর আওতায় বিমাযোগ্য আমানতের ওপর নির্ধারিত প্রিমিয়াম গ্রহণ করে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
বর্তমানে আমানত বিমা ট্রাস্টে ফান্ডের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা জানিয়ে গভর্নর বলেন, ব্যাংকের আমানত বিমা প্রিমিয়াম গ্রহণ করা হয় ষান্মাসিক ভিত্তিতে। বাংকের ঝুঁকি বিবেচনায় প্রিমিয়ামের হার নির্ধারণ করা হয়। প্রবলেম ব্যাংকগুলোকে দশমিক ১০ শতাংশ এবং আরলি ওয়ার্নিংভুক্ত ব্যাংককে দশমিক ৯ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্যাংককে দশমকি ৮ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হয়। তহবিলের টাকা পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বিলে এবং স্বল্পমেয়াদে রেপো খাতে বিনিয়োগ করা হয়।
আতিউর রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সম্প্রতি ২০০০ সালের ব্যাংক আমানত বিমা আইন পরিবর্তন করে নতুন ‘আমানত সুরক্ষা আইন’ করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে বিমাযোগ্য আমানতের সর্বোচ্চ পরিমাণ এক লাখ টাকা থেকে দুই লাখ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এতে বর্তমানে যেখানে আমানতকারীর আমানত ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা পেত তা বেড়ে ৯৩ শতাংশ হবে।
ইনফর্মেশন ফর ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম অ্যাসিসমেন্ট সফটওয়্যার বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব নিজস্ব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা তৈরি করেছেন উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব নিজস্ব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা এ ধরনের ৮০টি সফটওয়্যার তৈরি করেছেন। এতে খরচ একদিকে যেমন কম হয়েছে, অন্যদিকে এর ব্যবহার সহজ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫