ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মেশিনারিজ প্রদর্শনী মেলায় হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়বে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
মেশিনারিজ প্রদর্শনী মেলায় হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়বে না ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ১২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস মেশিন প্রদর্শনী মেলায় চলমান হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি তপন চৌধুরী।
 
মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুর বিটিএমএ’র কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।



হরতাল-অবরোধে প্রদর্শনী বাধাগ্রস্ত হবে কি-না জানতে চাইলে তপন চৌধুরী বলেন, সাধারণত হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু টাকা অবরোধ-হলতালে শুধু ব্যবসায়ী নয় সমগ্র দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আমাদের প্রদর্শনীতে এ হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ আমাদের ক্রেতারা সবাই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও, নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রয়োজনে প্রদর্শনীতে আসবেন এবং মেশিন ক্রয় করবেন।
 
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক বছর ধরে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছি। তাই হরতাল-অবরোধের অজুহাতে এবার প্রদর্শনীর তারিখ পরিবর্তন করিনি। কারণ এ পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। যদিও আমাদের ফ্যাক্টরি চলছে তারপরও ফ্যাক্টরিতে কাঁচামাল নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। তাই আমরা এ অরাজকতা পরিবেশ থেকে মুক্তি চাই।
 
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে আমরা দুই দলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে আমরা ব্যবসায়ীরা কঠিন অবস্থা পার করছি। কারণ ক্রেতারা সবাই অর্ডার বাতিল করছে, ফিরে যাচ্ছে।
 
২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে টেক্সটাইল খাতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল এবং তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তপন চৌধুরী বলেন, সে সময় আমাদের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছিল তা নির্দিষ্ট করে বলা এ মুহূর্তে সম্ভব না। তবে সেই ক্ষতি আমরা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তবে ২০১৪ সালের শুরুতে যে পরিস্থিতি ছিল তাতে আমরা বেশ সন্তুষ্ট ছিলাম। ওই সময়ে এ খাতে মোট দুই হাজার ৬শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
 
তপন চৌধুরী বলেন, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের উৎপাদন খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮১ শতাংশ অর্জিত হয় এ খাত থেকে। এ খাতে প্রায় ৫ মিলিয়ন লোক কর্মরত রয়েছে। যার অধিকাংশ নারী শ্রমিক। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক পণ্য রপ্তানিকারণ দেশ।
 
তিনি বলেন, আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নতি এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা পেলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে টেক্সটাইল ও ক্লথিং থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জন সম্ভব।
 
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আগামী বুধবার দুপুর ১২টা থেকে এ প্রদর্শনী শুরু হয়ে চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
 
তাইওয়ানের চ্যান চাউ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিডেট এবং হংকংয়ের ইয়র্কারস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করছে বিটিএমএ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

** টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস মেশিন প্রদর্শনী মেলা শুরু বুধবার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet