ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অবরোধ-হরতালের সবচেয়ে বেশি প্রভাব খাদ্যপণ্যে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
অবরোধ-হরতালের সবচেয়ে বেশি প্রভাব খাদ্যপণ্যে! ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের দেশব্যাপী টানা অবরোধের মধ্যে ডাকা  হরতালে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে খাদ্যপণ্যে। এতে করে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে নাভিশ্বাস উঠেছে।



চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাত্র এক মাসের ব্যবধানে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, ভোজ্যতেল, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

হরতাল-অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানায় বিবিএস। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে এলেও খাদ্যপণ্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) শেরে বাংলানগর পরিকল্পনা কমিশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

এতে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৮৬ ভাগ, জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ০৭ ভাগ। বিবিএস’র হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ডিসেম্বরে ১০০ টাকার খাদ্যপণ্যে দাম ৫ টাকা ৮৬ পয়সা বৃদ্ধি পেলেও জানুয়ারিতে একই পরিমাণে পণ্যে দাম বেড়েছে ৬ টাকা ৭ পয়সা।

খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমনে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে মালামাল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করা যাচ্ছে না। যে কারণে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। তবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার কারণে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কারণ আমরা অধিকাংশ সময় খাদ্য বহির্ভূত পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি।

জানুয়ারিতে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০১ শতাংশ। ডিসেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জানুয়ারিতে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা ডিসেম্বর মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।

গ্রামে সার্বিক মূল্যেস্ফীতির হার কমেছে। জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশে, যা ডিসেম্বর মাসে ছিল ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা ডিসেম্বর মাসে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

মাসের ব্যবধানে পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালী, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ, বিবিধ দ্রব্য ও সেবা খাতে মূল্যস্ফীতি হয়নি। বিবিএস বলছে, এই পণ্যগুলোর আমদানি খরচ কমায় এতে মূল্যস্ফীতির হারও কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet