আশুলিয়া(ঢাকা): ‘যা শিখলাম বহুত হইছে! বাঁইচা থাকার জন্য এইডা যে এতো প্রয়োজনীয় ছিল, তা আগে জানতাম না। যদি কখনো বিপদে পড়তে হয়, তাহলে কাজে লাগাইতে পারমু।
শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়ায় ডি কে নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় ভূমিকম্পের সাবধানতা, ভয়াবহতা ও সচেতনতা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। শুধু ভূমিকম্পই নয়, যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের কোন কোন দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ ও মহড়া কর্মসূচিতে।
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। যেকোনো সময় এ দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। কিন্তু ভূমিকম্পের সাবধানতা, ভয়াবহতা এবং ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ মানুষই অবগত নন। আর এ কারণেই জাইকা’র উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ ও মহড়া থেকে কি শিখলেন জানতে চাইলে গার্মেন্টস কর্মী রোকসানা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আসলে আমাদের কারখানার স্যারেরা আগে আমাদের কিছুটা শিখিয়েছিলেন। তবে আজ পুরোপুরি জানতে পারলাম, আসলে বিপদে কি করা প্রয়োজন।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া গার্মেন্টস কর্মী স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, আসলে ব্যক্তি জীবনে প্রশিক্ষণটি আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিল। দেশের মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এরকম একটি পরিকল্পনার জন্য জাইকা ও ফায়ার সার্ভিসকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রশিক্ষণ ও মহড়ায় জাইকা’র ভূমিকম্প বিষেশজ্ঞ মি. কানেকু ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মামুন মাহমুদ, ডি কে গ্রুপের পরিচালক এস এ তারেক ও ইনচার্জ (এইচআর অ্যান্ড কমপ্ল্যায়ান্স) আহসান কবিরসহ ফায়ার সার্ভিস ও জাপানের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫