বগুড়া: রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বগুড়ার বৃহত্তর নিউ মার্কেট বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন, মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকারি মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা অফিসে বা ঘরে বসে বলছেন, দেশে কোন সমস্যা নেই, সবকিছু ঠিক আছে।
বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজকে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে রাশেদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
রাশেদুল ইসলাম বলেন, ২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ-হরতালে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও নানা ধরনের নাশকতা ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সরাসরি গুলির নির্দেশ পাওয়ার পরও পরিস্থিতির কোন উন্নতি নেই।
তিনি জানান, ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধে প্রতিদিন গাড়ি, সড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে। ৪২টি মার্কেট নিয়ে বৃহত্তর নিউ মার্কেট সমিতি গঠিত। আমি তার নেতৃত্ব দেই। মার্কেটের প্রায় সবাই আমার প্রতি আস্থাশীল। তাই দোকান মালিকদের কোনো ক্ষতি হোক, একজন সচেতন ও জনপ্রিয় ব্যবসায়ী হিসেবে আমি এমন কোনো কাজ করতে পারিনা।
প্রত্যেকটি দোকান মালিক ও শ্রমিকদের আভিভাবক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাই তাদের ভাল ও মন্দ দু’টোই দেখার দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের। ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে ব্যবসায়ীরা এখনও তার কথায় দোকান বন্ধ রেখেছেন বলে জানান, রাশেদুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যেই অনেকবার আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন মার্কেটের ভেতরে এসে দোকান মালিকদের হুমকি দিয়ে গেছেন মার্কেট খোলার জন্য। এমনকি তাকেও হুমকি দিয়ে গেছেন।
এরপরও নিরাপত্তার কথা ভেবে এখনও মার্কেটের কোনো দোকান খোলা হয়নি। একেকটি দোকানে কোটি কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। ক্ষতি হয়ে গেলে পুষিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবেনা। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বগুড়া বৃহত্তর নিউ মার্কেট সমিতির নিয়ন্ত্রনাধীন একটি দোকানও খুলবেনা।
এক প্রশ্নের জবাবে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধসহ ৭২ ঘন্টার হরতালের প্রতিবাদে ১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দুপুরে শহরের সাতমাথায় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন করেছে বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। কিন্তু এটা ছিলো সম্পূর্ণ তাদের মনগড়া। ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে নানা কৌশলে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের কিছু ব্যানার তৈরি করে মানববন্ধন করানো হয়।
বৃহত্তর নিউ মার্কেট ছাড়াও ৫ জানুয়ারির পর থেকে জেলা শহরের বেশকিছু বড় দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব দোকান মালিকদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ও প্রশাসন তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫