ঢাকা: সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ক্ষতিপূরণসহ তাদের জন্য ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশের কৃষি ও কৃষক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন।
এছাড়া দাবিদাওয়াগুলো যথাযথভাবে সরকারের তুলে ধরতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসারও ঘোষণা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘বর্তমান সহিংসতা: কৃষিশ্রমিক, ক্ষুদ্র-কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের ওপর অভিঘাত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন ‘পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাকক্ষে এ সভার আয়োজন করে কৃষি শ্রমিক অধিকার মঞ্চ।
উন্মুক্ত আলোচনায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কৃষকদের বিভিন্ন ক্ষতির তথ্য তুলে ধরে বক্তারা ওই সিদ্ধান্ত নেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে যেন সহজেই আনতে পারেন সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনে আমরা রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সংগঠিত হয়ে অবস্থান করবো। তাদের ক্ষতির যাবতীয় তথ্য তুলে ধরে সরকারের কাছ থেকে তা আদায় করার জন্য আমাদের সংগঠিত হতে হবে।
বক্তারা বলেন, আজকের যে সমস্যা, এটা নতুন নয়। তাই আমাদের বিকল্প চিন্তায় এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত। বিপদের সময়ে আমরা কীভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করতে পারি এ বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ সময়ে বক্তারা রাজনৈতিক এ অস্থিরতার জন্য বর্হিবিশ্বের একটা ষড়যন্ত্রও রয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
তারা জানান, বিশেষ ব্যবস্থায় সবজি বাজারজাত কীভাবে করা যায় তার একটা পরিকল্পনা করতে পারি। কৃষকদের কথা সব ধরণের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তুলে ধরা উচিত। রেলের মাধ্যমে বিনা ভাড়ায় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা, ঋণ মওকুফ, আর্থিক সহায়তা, প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলে অনেক সমাধান আসবে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এক শ্রেণির মানুষ চায় না দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হোক। তাদের তৎপরতায় এ ধরণের সহিংস পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, কর্মজীবী নারী সংগঠনের ইসি কমিটির সদস্য উম্মে হাসান জলমল, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারশনের সভাপতি জায়েদ ইকবাল খান, কৃষি সংগঠনের নেতা সুফিয়া বেগম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়:১৪১৯ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫