ঢাকা: পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বহু বছর ধরেই সিরিয়ায় পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রতিবছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ৮০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা আয় করে বাংলাদেশ।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯০ হাজার বেল স্যাকিং টুইন ব্যাগ (বস্তা) রপ্তানির চুক্তি হয় সিরিয়া সরকারের সঙ্গে। এরমধ্যে ২০০৫ সালে ৫০ হাজার বেল বস্তা সরবরাহ করা হয়। বাকি ৪০ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৮৬৮ বেল বস্তা ২০০৬ সালের মার্চ মাসে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিজেএমসি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে অবশিষ্ট বস্তা সুদানে পাঠায়। এতে সরকারের ১৫ কোটি টাকা গচ্চা যায় বলে সংসদীয় কমিটির অভিমত।
বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ অভিমত প্রকাশ করেন কমিটি সদস্যরা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
সিরিয়ার সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে সুদানে বস্তা পাঠানোর বিষয়ে কমিটির সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী বাংলানিউজকে বলেন, তৎকালীন বিজেএমসি কর্মকর্তারা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় সিরিয়া সরকার আমাদের পাওনা টাকাও পরিশোধ করেনি। এতে সরকারের প্রায় ১৫ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, তৎকালীন সরকারও বিষয়টি আমলে নেয়নি। এজন্যই এতদিন পরে বিষটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কমিটির অভিমত প্রকাশ করেছে যেটা চলে গেছে তা তো আর ফেরত পাওয়া যাবে না। তাই আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এছাড়া বৈঠকে আগত বিজেএমসি কর্মকর্তাদের সর্তক করা হয়।
বৈঠকে অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম, মো. আফছারুল আমীন, রেবেকা মমিন, মো. শামসুল হক টুকু, মঈন উদ্দীন খান বাদল, মো. রুস্তম আলী ফরাজী।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫