ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক)তলবে হাজির না হয়ে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী সময় পেছানোর আবেদন করেছেন।
উড়োজাহাজ ক্রয়ে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি গত রোববার তাকে তলব করেছিলো।
বাহক মরফতে দেওয়া লিখিত আবেদনে তাসবিরুল দুদককে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে তিনিও সেখানে থাকায় দুদকে হাজির হতে পারেন নি। আগামী মার্চ মাসে তিনি দুদককে বক্তব্য দিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী তাকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য তলব করেছিলেন।
সূত্র আরও জানায়, আন্তর্জাতিক দরের চেয়ে বেশি মূল্যে উড়োজাহাজ ক্রয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও এমডির দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ২০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ কিনেছেন আন্তর্জাতিক দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে। উড়োজাহাজ কেনার নামে অনিয়মের মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৪১৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুসারে, খুচরা যন্ত্রাংশ প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রাপ্ত সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে কেনা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ দরপত্র ছাড়াই শুধু প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের একক সিদ্ধান্তে উড়োজাহাজ কিনেছেন।
সূত্র জানায়, বিমান সংস্থাটি ২০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ আন্তর্জাতিক দরের চেয়ে বেশি দামে কেনার পাশাপাশি একই সময় কেনা একই মডেলের উড়োজাহাজ কিনেছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। যেমন এমডি-৮৩ মডেলের তিন উড়োজাহাজের মূল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, ৭৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার ও ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৮০ মার্কিন ডলার। অন্য তিনটি মডেলের ক্ষেত্রেও একই রকম করা হয়েছে।
অভিযোগে অনুসন্ধানে আগামী ১২, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারের ১৬ জন পরিচালক ও প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজারকে (এজিএম) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫