ঢাকা: দেশে ডালশস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরও বেশি নজর দেওয়ার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তায় নানা প্রকার ডালজাতীয় ফসলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, কৃষক যেন বেশি করে এসব ফসল উৎপাদন করতে পারে।
সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ডালজাতীয় খাদ্যশস্য বিষয়ক ট্রাভেলিং কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল রিসার্চ অফ ড্রাই ল্যান্ড এরিয়া (আইসিএআরডিএ) আয়োজন করে এ কর্মশালার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
এ সময় মতিয়া চৌধুরী পোকামাকড় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ, লবনাক্ততায় উপযোগী এবং স্বল্প সময়ে যেন চাষাবাদ করা যায় এমন ডালজাতীয় ফসলের নতুন প্রজাতি উদ্ভাবনে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ, বরেন্দ্র ও চর অঞ্চলে ডালজাতীয় ফসলের চাষাবাদ বৃদ্ধির কার্যক্রমের পদক্ষেপ নিতে হবে। উচ্চ ফলনশীল ডাল চাষের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মশালায় ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান, ভুটান, চীন, কানাডা ও বাংলাদেশের বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রণালয়ের সচিব ইউনুসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে চার শতাংশ জায়গায় ডালজাতীয় ফসলের চাষাবাদ হয়। যা দিয়ে কেবল চাহিদার এক তৃতীয়াংশ পূরুণ হচ্ছে। তাই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমাদের উৎপাদন দেশব্যাপী বৃদ্ধি করতে হবে।
আয়োজকরা জানান, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর ডালজাতীয় ফসলের সফল প্রযুক্তিসমূহ আদান-প্রদানের মাধ্যমে এসব অঞ্চলের কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন- আইসিএআরডিএ আঞ্চলিক কোঅর্ডিনেটর ড. আশুতেষ সরকার। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিআরপি (ডালশস্য) পরিচালক ড. নয়েল এলিস, এডিজি (তৈলবীজ এবং ডালজাতীয় ফসল) ইকাডা ভারত ড. বি বি সিং, ডিডিজি গবেষণা ইকাডা ড. মারর্টিন ভ্যান জিংক্যাল।
স্বাগত বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ। সবশেষে ধন্যবাদ জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫