ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় সিঙ্গাপুর হাইপলিমার কেমিক্যাল প্রোডাক্ট লিমিটেড। বাটন তৈরির প্রধান উপকরণ রেজিন (ইউপিআর) কারখানা স্থাপনে প্রতিষ্ঠানটি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের নাসিম গ্রুপ ৩০ বছর ধরে সিঙ্গাপুরের এই কোম্পানিটি থেকে রেজিন আমদানি করে বাজারজাত করে আসছে। বাংলাদেশসহ ও এই অঞ্চলের বিশাল বাজারকে সামনে রেখে বাংলাদেশেই রেজিন কারখানা স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে কোম্পানিটি।
সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশে সফররত সিঙ্গাপুর হাই পলিমার কেমিক্যাল প্রোডাক্ট লিমিটেড’র পরিচালক খু চুং থিও এর সঙ্গে বৈঠক শেষে নাসিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশিদ আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, হোটেল সোনারগাওয়ে ‘রেজিনের ব্যবহার ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কনফারেন্সে অংশ নেন খু চুং থিও। এতে যোগ দেন বাংলাদেশের ৪০টির মতো বাটন উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। তাদের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন খু চুং থিও।
রেজিনের কাঁচামাল অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। তাই রেজিনের দাম কমানোর দাবি জানান বাটন ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকরা। তাদের উদ্দেশে খু চুং থিও বলেন, তেলের দাম কমে যাওয়ায় প্রতিটনে ৬০ ডলার কমানো হয়েছে।
কনফারেন্সে আলোচনায় অংশ নেন- নাসিম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহিদ আলী খান, আকু বোট বিল্ডার’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম জন, এম বাটন ও ব্রুচ ইন্ডাস্ট্রিজ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজালুল আলম, সিঙ্গাপুর হাই পলিমার কেমিক্যাল প্রোডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (এশিয়া জোন) অং হেঙ্গ ইয়ং।
বাংলাদেশে শতাধিক বাটন ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বছরে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মেট্রিক টন রেজিন প্রয়োজন হয়। যা পুরোটাই আমদানিনির্ভর বলে জানান নাসিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি আরও জানান, সিঙ্গাপুরের এই কোম্পানিটির সঙ্গে যৌথভাবে রেজিন কারখানা স্থাপনে আলোচনা চলছে। তাদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে রেজিনের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। এই কারখানা স্থাপন হলে আরও কমদামে এবং স্বল্প সময়ে রেজিন সরবরাহ সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫