ঢাকা: হরতাল-অবরোধ মেলায় আগত মানুষকে রুখতে পারেনি। হরতাল-অবরোধে বাণিজ্যমেলা বাধাগ্রস্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার(১০ জানুয়ারি’২০১৫) বিকেলে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে মেলার শুরু পর দুভার্গ্যবশত বিএনপি ৫ জানুয়ারি কর্মসূচি দিয়েছে। হরতাল-অবরোধ, অরাজকতা, বিশৃংখলা, পেট্রোল বোমা মারা, জঙ্গি ও নাশকতা কার্যকলাপ না করলে মেলায় মানুষ আরও ভালোভাবে অংশগ্রহণ করতে পারতো।
বাঙালী বীরের জাতি বলে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে বলে এত কিছুর পরও মেলার স্বাভাবিক কাজ কর্ম অব্যাহত ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গতবছর রপ্তানি আদেশ পেয়েছিলাম ৮০ কোটি টাকা। এবার ১৫ কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আদেশ পেয়েছি।
কোথাও হরতাল হয়নি, হচ্ছে না দাবি করে তোফায়েল বলেন, কোথাও হরতাল হচ্ছে না, সব স্বাভাবিক। তবে হরতালের মধ্যে পেট্রোল বোমা মেরে মায়ের কোল খালি করা হয়।
সংলাপের প্রস্তাব অবাস্তব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পেট্রোল মেরে শিশুকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়, মায়ের কোল খালি করা হয়। বোনকে বিধবা করা হয়। এটা কোন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড না। যারা সংলাপের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন তারা একটি অবাস্তব, অযৌক্তিক প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী, নাশকতা সৃষ্টিকারি, জঙ্গী তৎপরতার সাথে যারা জড়িত তাদের সাথে কোন সংলাপ হতে পারে না।
যারা এ প্রস্তাব দিয়েছেন তারা নাশকতাকারী, সন্ত্রাসীদের, গণতন্ত্রের পক্ষে যারা তাদের এক কাতারে দাঁড় করতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, জঙ্গীদের সাথে যদি আলোচনা, আপোস হতো, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ আইএস’র মতো সন্ত্রাসীদের সাথে এরইমধ্যে আলোচনায় বসে যেত।
মেলা সফল দাবি করে তোফায়েল বলেন, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের অনুরোধে মেলার সময় ১০ দিন বাড়ানো হয়েছিল। আজকেও লক্ষাধিক লোক হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশীষ বোস বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫