ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হরতাল-অবরোধ ক্ষতি

৫০ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ চায় ডিসিসিআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫
৫০ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ চায় ডিসিসিআই ছবি: দীপু/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ৩৬ দিনের হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়িক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৫০ শতাংশ ভ্যাট এবং আমদানি করা পণ্যের ওপর পোর্ট চার্জ, ডেমারেজ ও পেনাল্টি চার্জ ৫০ শতাংশ মওকুফ চেয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

একই সাথে কর্পোরেট কর কমানো, শিল্পবান্ধব করনীতি প্রণয়ন, কালো টাকার উৎস বন্ধ ও করের আওতা বাড়ানোসহ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ২৮টি প্রস্তাবও  দিয়েছে সংগঠনটি।



বৃহস্পতিবার বিকেলে (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে ডিসিসিআই নেতারা এসব প্রস্তাব দেন।

সংগঠনের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে। বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে তারা ব্যবসা করতে পারেন নি। ফলে তাদের পক্ষে সঠিক সময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্দরে পণ্য আমদানি করা ব্যবসায়ীরা পোর্ট চার্জ, ডেমারেজ ও পেনাল্টি চার্জ দিয়ে ক্ষতির সস্মুখীন হচ্ছে। ফলে তাদেরও ৫০ শতাংশ চার্জ প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার কোটির টাকা ক্ষতি হচ্ছে। সে হিসেবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা আনুমানিক অর্ধেক নির্ধারণ করা হলেও গত ৩৬ দিনে এর বিপরীতে ৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি রয়েছে।

ঘাটতি পূরণে ব্যবসায়ীদের ওপর নতুন কর আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি।  
 
হোসেন খালেদ বলেন, রাজস্ব আয়ের বড় অংশ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আসে। করের হার বাড়ালে ব্যবসায়ীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। করের হার না বাড়িয়ে আওতা বাড়ালে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে না।
 
করদাতা বাড়াতে আয়কর মেলা সিটি কর্পোরেশন, জেলার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে করারও আহ্বান জানান খালেদ হোসেন।
 
তিনি বলেন, ব্যবসাবান্ধব করনীতি হলেই ব্যবসায়ীরা কর ও ভ্যাট দিতে আগ্রহী হবে। কর আইনে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশিয় শিল্পকে প্রাধান্য ও কর্পোরেট কর কমপক্ষে ২ শতাংশ কমানো দরকার।

লিখিত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি চেম্বার ও ট্রেড বডির ওপর কর প্রত্যাহার, অটোমোবাইল শিল্প ও পাট শিল্পের জন্য বিশেষ ইনটেনসিভ, প্রতিটি পণ্যের নির্দিষ্ট মূল্য ঘোষণা, ডিএসই’র লেনদেনে টার্নওভার ওপর অগ্রিম আয়কর কমানো, সিএসআরকে আয়করমুক্ত ঘোষণা, ব্যবসায়ী সংগঠনের আয়কে আয়কর মুক্ত রাখা, করের আওতা বাড়াতে ট্যাক্স কার্ডের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, ইন্টারনেট ব্যবহার ও শিক্ষার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারসহ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভূক্তির জন্য ২৮টি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
 
এনবিআর চেয়ারম্যান ডিসিসিআই’র বক্তব্য শুনে সমাধানের আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫/আপডেটেড- ১৭০০ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।