ঢাকা: কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে রুখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘কানাডা শোকেস-২০১৫’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।
ঢাকায় কানাডীয় হাই কমিশন এবং বাংলাদেশ-কানাডা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ক্যানচেম) যৌথ উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক চমৎকার। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ পণ্য কানাডায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। দেশটিতে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার রফতানি করছে।
১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে কানাডা স্বীকৃতি দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময় আমরা ছিলাম শূন্য। কিন্তু আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বলীয়ন। এই শক্তি এনে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
‘তাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আর নিম্ন আয়ের দেশ থাকবে না। উন্নত দেশে পরিণত হবে। আশা করি ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্য আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ’—যোগ করেন মন্ত্রী।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যবসায়ী সমাজ এক ধরনের চরম অস্থিরতায় ভূগছেন। সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না তারা। কিন্তু এধরনের কোনো ষড়যন্ত্র দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে রুখতে পারবে না। দেশ এগিয়ে যাবেই।
সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়া পিয়েরে লারামি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপনে গুড গর্ভনেন্স, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্রায়ন প্রয়োজন।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ নিম্ন থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মি. লারামি বলেন, সুশাসন, অবকাঠামোগত এবং বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন বিনিয়োগকারীদের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে। যা তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্যবসায়ী শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ এবং কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫