ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের মূল কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, এখনো অনেকেই ঢাকা-চট্টগ্রামে ৫ ঘণ্টায় যাতায়াত করেন।
রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে তিনি হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে নবনির্মিত আটটি সেতু এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে নবনির্মিত দুটি সেতু উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব সেতু উদ্বোধন করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এন এ সিদ্দিক, সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী এম ফিরোজ ইকবালসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৯২ কিলোমিটার। অবরোধ ও নাশকতা সত্ত্বেও আমাদের কাজ এগিয়ে চলেছে। ১১৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা করার কাজ শেষ হয়েছে। তিনটি রেল ওভার পাসে কিছুটা সময় লাগবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলাসমূহে সড়ক যোগাযোগে একটি নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হলো। পাবর্ত্য জেলাগুলোতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এর বাকি সেতুসমূহের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে পার্বত্যজেলার নাগরিকরা চট্টগ্রাম সড়কে না গিয়েও সরাসরি যাতায়াত করতে পারবেন। দুই বছর আগেও এসব সড়ক ছিল অত্যন্ত নাজুক।
দুই বছর আগে স্বশরীরে এসব সেতুসমূহের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। ১২টি সেতুর কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর ব্যয় ১৩৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। চারটি জাইকার অর্থায়নে বাকি সেতুসমূহ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে।
খাগড়াছড়ির স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিপ্লবের অগ্রপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
শান্তিচুক্তির শর্ত অনুযায়ী পার্বত্য জেলাসমূহে সড়ক যোগাযোগের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫