ঢাকা: সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আর্থিক ব্যয়ের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ এবং অনুন্নয়ন বাজেটের আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ ও পুনঃঅর্পণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট পরিপত্র সংশোধনের প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্প পরিচালক, অধিদফতর/সংস্থা এবং বিভাগ-জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
পূর্ত কাজ যেমন- ভবন ও রাস্তা নির্মাণ, মালামাল ক্রয়, বুদ্ধিবৃত্তিক সেবা বা প্রশিক্ষণ, ডিজাইন ইত্যাদির ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তোলা হয়। আর কনসালট্যান্সি সেবা কাজের ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার বেশি হলে মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে আসে।
বর্তমানে বিভাগীয় প্রধান/মহাপরিচালক/চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৪ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩০ কোটি, ‘ক’ শ্রেণির প্রজেক্ট পরিচালকের ক্ষেত্রে ৮ কোটি, ‘খ’ শ্রেণির পরিচালকের ক্ষেত্রে ৬ কোটি, ‘গ’ শ্রেণির ক্ষেত্রে ৪ কোটি রয়েছে।
এছাড়া অনুন্নয়ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে (গাড়ি কেনা, গাড়ি মেরামত, যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম ক্রয়) মন্ত্রণালয় ৫০ কোটি টাকা, এটা ঠিক থাকবে। বর্তমানে বিভাগীয় প্রধান ২০ লাখ, বিভাগীয় বা আঞ্চলিক কর্মকর্তা ৬ লাখ, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ৪ লাখ, উপজেলা ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ক্ষমতা অপরিবর্তিত (৫০ কোটি টাকা) থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উন্নয়ন ও অনুন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যয়ের সীমা অর্পযাপ্ত, এটা বাড়বে। তবে কত হবে তা পরে নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা মনে করে মাঠ পর্যায়ে আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত হলো- সরকারি ক্রয় কমিটির ক্ষমতা অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে আরও বেশি ক্ষমতা অর্পণ করতে হবে। তবে তা কত, নির্দিষ্টভাবে বলে দেয়নি মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসার সুবিধা হলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যৌথ সিদ্ধান্ত নিলে সিদ্ধান্তের গুণমত মান বৃদ্ধি পায় এবং ভুল ত্রুটি হওয়ার আশঙ্কা কমে। স্বচ্ছতা জবাদিহিতা আরও বাড়ে।
মন্ত্রিসভা মনে করে, মাঠ পর্যায়ে আর্থিক ক্ষমতা বাড়ালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে এবং উন্নয়ন কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে।
আর্থিক ব্যয়ের ক্ষমতার জন্য অর্থ বিভাগের সার্কুলার রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সার্কুলার আছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তার কিছু সংশোধন করা হয়।
এর মধ্যে সরকারের কাজ ও বাজেট বেড়েছে। এডিবি অনেক বড় হয়েছে। সে প্রেক্ষাপটে আর্থিক ব্যয়ের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫