ঢাকা: পোল্ট্রি খামার করতে চাচ্ছেন কিন্তু এর জন্য যে বিনিয়োগ দরকার তা আপনার নেই। অথবা খামার করলে যদি আর্থিক ক্ষতিতে পরে যান এই ভয়ে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না।
পোল্ট্রি খামারের জন্য প্রধান উপাদান বাচ্চা, খাদ্য, ওষুধসহ আনুষঙ্গিক যাবতীয় সহযোগিতা দেবে নারিশ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড। শুধু কমপক্ষে ৫০০ মুরগি পালনের জন্য পরিপূর্ণ ঘর (প্রস্তুতকৃত) ও খাবারের সরাঞ্জামাদি থাকলেই চলবে।
ওই দুই শর্ত পূরণ করতে পারলে নারিশে আবেদন করে স্বপ্নের ব্যবসায় যে কেউ নেমে যেতে পারেন। মুরগি বড় হওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক কেজিপ্রতি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেবে নারিশ। ইচ্ছে করলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিজে মূলধন বিনিয়োগ করে একাই খামার পরিচালনা করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলা নবম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি প্রদর্শনীতে নারিশ’র স্টলে এমনই তথ্য পাওয়া গেলো। স্টলে নিবন্ধনসহ এ সুযোগ হাতে পেতে যে কোনো তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়া এ স্টলে ব্রয়লার মুরগি পালনে যাবতীয় করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে।
নারিশ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড পরিচালক সামছুল আরেফিন খালেদ এসব তথ্যর নিশ্চিয়তা দিয়ে বলেন, আমরা নিজস্ব পোল্ট্রি পণ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করি। যেসব এলাকায় আমাদের প্রতিনিধি নেই, সেসব এলাকায় খামারিদের কাছে যেতে পারি না। শুধু আমরা না কেউই যেতে পারেন না। তাই ওইসব এলাকায় কিছু শর্তে খামারিদের ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা, খাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকি।
এ ধরনের প্যাকেজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেক এলাকায় লোকজন যেতে চায় না। সেসব এলাকায় ব্রয়লার মুরগি পালনে উৎসাহের পাশাপাশি তৃণমূল খামারি তৈরি হয়ে তারা যেন আর্থিকভাবে সফলতা পান এ লক্ষ্যে আমাদের এ প্যাকেজ। এক্ষেত্রে আমাদের মুনাফা কম বা নেই অথবা হলো সেদিকে নজর দিচ্ছি না।
নারিশ’র রিজিওয়ানাল সেলসম্যান ডা. রেজাউল করিম খান বলেন, যাদের কাজ ভালো হয় তাদের সুবিধাও বেশি দেওয়া হচ্ছে। আমরা কিছু বিষয় ঠিক করে দেওয়ার পাশাপাশি সব ধরনের পরামর্শ দেই। সব বিষয়ে রাজী হওয়ার পরই খামারিদের সঙ্গে চুক্তি করি। যে কোনো জায়গা থেকে যে কেউ আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা তা গুরুত্ব দেই।
এ প্যাকেজের সফলতা এবং ব্যাপক সাড়াও পাওয়া গেছে বলেও জানান নারিশ পরিচালক সামছুল আরেফিন।
সবশেষে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে তিনি বলেন, খামারি গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ বছর থেকে প্রতিবছর এক হাজার করে খামারিকে সরাসরি সহযোগিতা করবো। এর মধ্য ৫০০ জন খামারিকে পুরুস্কৃত করবো। যেন তারা আরও বেশি উৎসাহিত হন।
নতুন উদ্যেক্তা ও ক্ষুদ্র খামারি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই যাত্রা আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। চলবে শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।
বাংলদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৫