ঢাকা: আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি প্রদর্শনীতে খামারি, উদ্যোক্তা ও পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা সব ধরনের তথ্য পাচ্ছেন। এছাড়াও মুরগীর রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও চিকিৎসা পরবর্তী করণীয় বিষয়েও জানতে পারছেন খামারিরা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ৯ম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি প্রদর্শনী ও সেমিনারের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) খামারিরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের নিজস্ব পণ্যের সঙ্গে পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খামারিরা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন।
ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ শাখা এ প্রদর্শনী ও সেমিনারের আয়োজন করেছে।
নরসিংদী থেকে আসা পোল্ট্রি খামারি আসাদুজ্জামান বলেন, প্রদর্শনীতে বিভিন্ন পোল্ট্রি শিল্প বিষয়ক বিভিন্ন ধারণা পেলাম। এলাকায় দেখা যায়, এক বা দু’টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য দেখার সুযোগ হয়। এছাড়া স্টলের সবাই খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এটি খুবই ভালো আয়োজন।
প্রদর্শনী প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, খামারিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করছেন। স্টলের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে তথ্য নির্ভর লিফলেট। স্টলের কর্মীরা খামারিদের নিজেদের পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিচ্ছেন। মুরগির খাবারের সরঞ্জামাদির প্রদর্শনী উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা।
এসিআই অ্যানিমেল হেলথ’র প্রোডাক্ট এক্সিকিউটিভ ডা. মোনায়ার হোসাইন বলেন, এখানে খামারি ও ব্যবসায়ী উভয়ই উপকৃত হচ্ছেন। খামারিদের সঙ্গে আমরা নিজেরাও পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। এতে ব্যবসার ক্ষেত্রও বাড়ছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মসিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি এ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেন। এতে দেশ-বিদেশের পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞরা তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন। যে কোনো বিষয়ে জানতে বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রশ্নও করা যাবে।
আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের সবচেয়ে বড় আসর ৯ম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনার চলবে শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। ১৪৭টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে এ প্রদর্শনীতে। সেমিনারে ৪৭টি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট কোনো পণ্য বিষয়েও তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে প্রদর্শনীতে।
আয়োজকের মনে করেন, জনসংখ্যা অনুযায়ী ডিম ও মুরগির মাংসের চাহিদা মেটাতে এবং আগামী ২০২০ সাল নাগাদ পোল্ট্রি শিল্প যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়, তা অর্জনে এ কার্যক্রম বড় ভূমিকা রাখবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীর সঙ্গে সঙ্গে চলছে সেমিনারও। বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এর উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৫