ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করতে হবে ছবি: দীপু/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য যেমন কল-কারখানা পরিদর্শককে খেয়াল রাখতে হবে, তেমনি মালিকদের স্বার্থের কথাও খেয়াল রাখতে হবে। মূলতঃ মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে শিল্প উন্নয়ন করাই হবে কারখানা পরিদর্শকের প্রধান দায়িত্ব।


 
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি।

নবনিযুক্ত কল-কারখানা পরিদর্শকদের অবহিতকরণ কর্মসূচি উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর।
 
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মুজিবুল হক বলেন, আপনাদের হাতে অনেক ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু আইনের অপব্যবহার করা যাবে না। কেননা, কারখানা আইন বা শ্রম আইন মানার ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক কেউ এখনো অভ্যস্ত নয়। যদি পরিদর্শনকালে কোনো কারখানায় সুষ্ঠু পরিবেশ না পাওয়া যায়, তবে হঠাৎ করেই জোর জবরদস্তি করা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই প্রথমে তাদের নোটিশ দিয়ে অবহিত করার সুযোগ দিতে হবে। এভাবেই মালিকদের আইন মানতে অভ্যস্ত করা যাবে। অন্যদিকে শ্রমিকরাও অনেক সময় অন্যের প্ররোচনায় মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দেন। সে বিষয়টা মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
 
তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর কারখানা পরিদর্শক নিয়োগের জন্য সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ ছিলো। তাই ‍দুই শতাধিক পরিদর্শক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে থেক ১১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের কাজই হবে মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখা। তা নাহলে এর সুফল আসবে না।
 
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বলেন, যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কারখানা পরিদর্শকদের দেশে বিদেশে নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে আইনের অপব্যবহার করা যাবে না। আইনের এমন প্রয়োগ করতে হবে যেন শিল্প বিকশিত হয়।
 
দাতা সংস্থা জিআইজেড’র কর্মসূচি সমন্বয়ক ম্যাগনাস শিমিড ও আইএলও বাংলাদেশের অতিরিক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গগন রাজভান্ডার সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক দফতরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহম্মদ।

সভা শেষে মন্ত্রীর হাতে অনুদানের ৩২টি ল্যাপটপ হস্তান্তর করেন জিআইজেড’র কর্মসূচি সমন্বয়ক ম্যাগনাস শিমিড।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।