মাগুরা: সাধারণ জাতে মসুর ডালের তুলনায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বারি-৩ জাতের মসুর ডাল চাষে কৃষকরা দ্বিগুণ ফলন পাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার আড়াইশত গ্রামে বারি-৩ ডালের পরিচিতিমূলক আলোচনা অনুষ্ঠান এ তথ্য জানানো হয়।
সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজার জাতকরণ কর্মসূচির আওতায় কৃষক পর্যায়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ইয়ারুল ইসলাম।
সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা সুব্রত কুমার দত্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত কুমার চক্রবর্তী, বিআরডিবি কর্মকর্তা মাহামুদ আলী, সামসুল আলম, আঠাখাদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষক শচীন বিশ্বাস, গিরীন বিশ্বাস প্রমুখ। মাঠ দিবসে বিআরডিবির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫০ জন কৃষক অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়- উচ্চ ফলনশীল বারি-৩ জাতের মসুর স্থানীয় জাতের তুলনায় দুই গুণেরও বেশি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন। স্থানীয় জাতে হেক্টর প্রতি যেখানে উৎপাদন হয় ০.৫ থেকে ০.৬ টন। সেখানে বারি-৩ জাতের মসুর হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয় ১.৫ টন।
এছাড়া বারি-৩ জাতের মসুর রোগবালাইও কম হয়। ফলে এর গাছ মরে কম। ঘন কুয়াশায় এর ফুল নষ্ট হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫