ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতেও এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইসলামী ব্যাংকও নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর মধ্যে ২০১৪ সালে ইসলামী ব্যাংকই এসএমই খাতে ২৪৯৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। যা এ খাতে জাতীয় ঋণ বিতরণের ২৭ শতাংশ। বর্তমানে ১ লাখ ৩০ হাজার এসএমই উদ্যোক্তা ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত। এক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী উদ্যোক্তার অনুপাত ৭৭:২৩।
এসএমই ক্লাস্টার ভিত্তিক ঋণ প্রদানকে উৎসাহিত করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক এসএমই ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ গ্রহণের সুবিধার্থে প্রতিটি শাখায় পৃথক নারী ডেস্কও স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় এসএমই সেবা পৌঁছে দিতে ব্যাংকটির ২৯৪টি শাখা এবং ১৪ হাজার কর্মকর্তা নিরলসভাবে কাজ করছে। এসএমই খাতের উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক যৌথভাবে 'বর্ষসেরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বান্ধব ব্যাংক' পদকে ভূষিত হয় ইসলামী ব্যাংক।
এশিয়ান বিজনেস রিভিউয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের ৮০ শতাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের। জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ২৫ শতাংশ। আর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এ খাতের অবদান ৪০ শতাংশের মতো। যেখানে ভারতে উদ্যোক্তাদের ৯৭.৬ শতাংশ এসএমই এবং জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৮০ শতাংশ। চীনে উদ্যোক্তাদের ৯৯ শতাংশই এসএমই। জিডিপির ৬০ শতাংশ এ খাতের অবদান। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এসএমই খাতের অবদান ৯২ শতাংশ। জাপানে উদ্যোক্তাদের ৯৯.৭ শতাংশ এসএমই। জিডিপির প্রায় ৬৯.৫ শতাংশ এবং কর্মসংস্থানের ৭২ শতাংশ এসএমই খাতের।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫