ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম বলেছেন, সমুদ্র এলাকায় অনেক সম্পদ রয়েছে। আর এ সম্পদ আহরণে দক্ষতা অর্জন ও ব্যবস্থাপনা বাড়াতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে আয়োজিত ‘মেরিন রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট অব বাংলাদেশ আনকনটেক্সট অব নিউলি ডিমার্কেটেড বাউন্ডারি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ সব কথা জানান।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডি (বিআইআইএসএস) সেমিনারটির আয়োজন করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত ও মায়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা জয়ের ফলে সমুদ্রে যেমন আমাদের সীমানা বেড়েছে, তেমনি এ সমুদ্র এলাকায় অনেক সম্পদ রয়েছে। আর এ সম্পদ আহরণে দক্ষতা অর্জন ও ব্যবস্থাপনা বাড়াতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে। তাই, সরকার দেশের সমুদ্রসীমায় সম্পদ আহরণে দক্ষতা বাড়াতে উদ্যোগী হচ্ছে।
এ সময় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও সমুদ্র সম্পদ আহরণে দক্ষতা বাড়ানোর কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল খোরশেদ আলম সেমিনারে ‘চ্যালেঞ্জেস মেরিটাইম বাউন্ডারি অ্যান্ড প্রসপেক্ট অব ব্লু -ইকোনমি ইন দ্য বে অব বেঙ্গল’ নামে একটি নিবন্ধ পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নবনির্ধারিত সমুদ্রসীমার পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বৃহত্তর সচেতনতা গড়ে তোলার বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য পায়।
বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের উন্নয়নে সাগর-মহাসাগর সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন, যা দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
এছাড়া বর্তমান ব্লু-ইকোনমির ধারণাটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, চীনসহ বৈশ্বিক শক্তিগুলোর কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির প্রসারে বাংলাদেশেরও তাই নব নির্ধারিত সমুদ্র সীমায় সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরো বেশি উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে জানান বক্তারা।
সেমিনারে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গবেষক, শিক্ষক, নীতি-নির্ধারক ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫