ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩.০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিজার্ভ এবারই প্রথম ২৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করলো।
বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিন শেষে রিজার্ভ নতুন এ মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এটি খুবই ভালো সংবাদ।
নাজনীন বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ স্থিতিশীল থাকা ও রফতানি আয়ের উন্নতি হওয়া রিজার্ভে নতুন রেকর্ড হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রিজার্ভ রেকর্ড হওয়ায় বোঝা যায়, অর্থনীতি ভালো দিকে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির সূচকগুলো ভালোর দিকে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের উপরে রয়েছে। মূল্যস্ফীতির হারও নিম্নমুখী। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, রেমিটেন্স যাতে সঠিক পন্থায় দেশে আসে সেজন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। গ্রাহকের কাছে দ্রুত রেমিটেন্সের টাকা পৌঁছে দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রফতানি ও আমদানির ক্ষেত্রে প্রপার মনিটরিং করা হচ্ছে। রফতানি ও আমদানিতে স্বচ্ছতা এসেছে। এটিও রিজার্ভ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩.০৩ বিলিয়ন ডলারে।
প্রতি মাসে তিন বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাত মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানান ছাইদুর।
গত বছরের ৭ আগস্ট প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ছাড়ায়। এরপর আকুর বিল পরিশোধের কারণে তা ২২ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে আসে। তবে বছরের শুরুতেই ইতিবাচক প্রভাব পড়ে রিজার্ভে। ২৮ জানুয়ারি রিজার্ভ আবারও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারির নতুন রেকর্ডের পর মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার রিজার্ভে আবারও নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫