ঢাকা: সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত হলে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে-আসতে যতক্ষণ লাগে।
সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দ রোববার(৯ মার্চ’২০১৫) পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে বিভিন্ন দাবি নিয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা জানান।
দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মত বিনিময় করে মন্ত্রী বলেন, যুক্তিযুক্ত দাবির বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের ভালভাবে ব্যবসা করার পরামর্শ দেন।
যারা ঘিঞ্জি পরিবেশে কারখানা স্থাপন করে পণ্য উৎপাদন করছেন তাদের খোলা জায়গায় সরে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে প্রতিশ্রুত ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের কিছু অংশ বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্মা ও তুরাগ নদী দুষণ রোধে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান পরিবেশ মন্ত্রী।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গোল্ডেন কান্ট্রি। ব্যবসা-বাণিজ্যের কোন অসুবিধা নেই। যারা হরতাল-অবরোধে জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদের সমালোচনা করেন মন্ত্রী।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীর কাছে পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত শর্ত আরোপ করা হয়েছে তা যেন বাস্তবসম্মত হয় সে দিকে খেয়াল রাখার জন্য মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন ডিসিসিআই নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, শিল্প কারখানার জন্য এয়ার কোয়ালিটি/সাসপেন্ডেড পার্টিকুলার ম্যাটার্স (এসপিএম) ৫০০ মাইক্রোগ্রাম/ঘন মিটারের পরিবর্তে ২০০ মাইক্রোগ্রাম/ঘন মিটার প্রতি ৮ ঘণ্টায় নির্ধারণ করা হয়েছে। যা এ দেশের আবহাওয়ায় কোনভাবেই সম্ভব নয়।
আগের ৫০০ মাইক্রোগ্রাম/ঘন মিটার বহাল রাখার দাবি জানান তারা।
এই সমস্যা নিরসন না হলে অধিকাংশ কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়ন কার্যক্রম স্থগিত থেকে যাচ্ছে এবং কারখানা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের শর্ত অনুযায়ী, কারাখানাগুলো প্রতি ৩ মাস পর পর বায়ু ও পানি পরীক্ষার জন্য বলা হলেও অধিদপ্তরের জনবলের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না, যা নিরসনের দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিটি কারখানার জন্য আলাদা আলাদা ইটিপি স্থাপন না করে সরকারি সহায়তায় শিল্পাঞ্চলের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কেন্দ্রীয় ইটিপি নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫