ঢাকা: লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। চলমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৮ লাখ ৩ হাজার ডলার। প্রথম দশ দিনে অর্জিত হয়েছে মাত্র ৭০ কোটি ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদিও আমরা সরকারি সহায়তায় সংকট কাটিয়ে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তারপরও গত দুই মাসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক সময় লাগবে।
‘দুই-তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত সংকট দৃশ্যমান হবে,’যোগ করেন তিনি।
ইপিবি‘র প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২৫১ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭০ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
গত মাসে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ কম হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, আলোচ্য সময়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
তবে এ সময় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কম হয়েছে ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ১২৮ কোটি ১২ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২ হাজার ৩১ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
প্রতিবেদন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আট মাসে ওভেন পোশাকের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম হয়েছে।
জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে ৮৭৭ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৮৪১ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
নিট পোশাকে রপ্তানি আয় কম হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরের আট মাসে ৮৪৭ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ডলারের নিট পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৮১৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫