ঢাকা: চলতি অর্থ বছরের (২০১৪-১৫) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
এডিপিতে এবার অনেক মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত বরাদ্দের দাবি করেছে, যে কারণে ৭২ হাজার কোটি টাকা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি’র আকার ধরা হয়েছে বলে জানান, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সভায় শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ৪০০ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার ঘোষণা দেন।
এনইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সমস্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অতিরিক্ত টাকা সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে।
সভা সূত্র জানায়, শিল্প খাতে ৩৪টি প্রকল্পের অনুকূলে ১ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্য থেকে ৪০০ কোটি টাকা সভায় ফেরত দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। অথচ সংশোধিত এডিপি’তে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে আট হাজার ৩শ’ ১৮ কোটি টাকা ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। উপ-বৃত্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এই বরাদ্দ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট আট হাজার ৬শ’ ৬৩ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৬৪ কোটি, সড়ক ৪১৮ কোটি, স্বাস্থ্য ৫৬৬ কোটি, আইন ও বিচার ২৫০ কোটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১১৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে।
তবে সভায় সব থেকে বেশি বরাদ্দ চেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারা এক হাজার ৫৪২ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে।
‘দুর্গম এলাকায় ১০০০টি ইউনিয়ন পরিষদে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল উন্নয়ন’ প্রকল্পের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ২৬০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে।
এছাড়া ১২টি প্রকল্পের জন্য আরও প্রায় ১০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫
** চূড়ান্ত এডিপি’র আকার ৭৫ হাজার কোটি টাকা
** পরিবহন, শিক্ষা ও বিদ্যুতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব