ঢাকা: গত (২০১৩-১৪) অর্থ বছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের একই সময়ে টেরি টাওয়েলের রফতানি কমেছে ৪৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা টাকার অংকে প্রায় ১৬১ কোটি ২ লাখ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইপিবি সূত্র জানায়, গত অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ২ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার। তবে লক্ষ্যমাত্রা বাড়লেও কমেছে রফতানি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে টেরি টাওয়েলের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা চলতি বছর নির্ধারিত হয়েছে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার। অথচ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার।
লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ কম অর্জন হয়েছে। তবে আরও আশঙ্কাজনকভাবে পিছিয়ে আছে আগের বছরের তুলনামূলক চিত্র।
২০১৩-১৪ অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে ৪৪ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার আয় হয় টেরি টাওয়েল রফতানি করে। সে হিসেবে চলতি বছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসে কম হয়েছে ২.০২৩ কোটি ডলার। যা টাকার অংকে প্রায় ১৬১ কোটি ২ লাখ।
এদিকে টেরি টাওয়েলের রফতানি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ইমেজ সঙ্কটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে গত দুই বছর ধরে অর্ডার পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিও একটি অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফেকচারস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) সচিব মো. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত তিন বছর ধরেই টেরি টাওয়েল এর রফতানি কমছে। শুধু রফতানি নয়, মূল আয়ও কমছে পাল্লা দিয়ে।
‘আগে যেখানে এক ট্রাক মাল বন্দরে নিতে খরচ পড়ত ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেখানে এখন দিতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা,’ বলেন তিনি।
মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। তারা জিএসপি সুবিধা নিয়ে বাজারে আছে। তাই প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা থাকার কারণে তারা অর্ডার বেশি পাচ্ছে। আর আমরা পাচ্ছি না। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা তো রয়েছেই।
এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের আরও বড় সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করেন মো. মুজিবুর রহমান।
তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে চাননি ইপিবি সদস্যরা। তারা জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয় বা সহ-সভাপতি শুভাষিস বসু ছাড়া কেউ কথা বলবেন না।
এ বিষয়ে ইপিবি সহ-সভাপতি শুভাষিস বসুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গত ৫ জানুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলকে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডাকেন জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া।
অবরোধের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার আর শনিবার ছাড়া পাঁচ কার্যদিবসে হরতালও পালন করছে সরকার বিরোধী এ জোট।
টানা হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতিতে বেশ বড়[ ধরনের প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫