ঢাকা: তুলা শিল্পের প্রসারে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক।
শুক্রবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে দু’দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ-২০১৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
দেশের টেক্সটাইল সেক্টরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য তুলা শিল্পকে প্রধান্য দিতে হবে। দেশে যে পরিমাণ তুলা উৎপাদন হয়, তা দেশের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এ কারণে প্রচুর পরিমাণ তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় হলেও অধিকাংশ তুলা আমদানি করতে হয়।
তিনি বলেন, উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তুলা আমদানির ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ব্যবসায়ীরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। এতে দেশের অর্থনীতিও ভালো অবস্থানে থাকবে।
বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরি বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে অদম্য সাহস ও বিচক্ষণতা দিয়ে সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে নিজ নিজ ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
বিসিএর সদস্য, বিদেশি ব্যবসায়ী, শিপার ও মার্চেন্টসহ মোট ২০টি দেশের আড়াইশ’ প্রতিনিধি এতে অংশ নিয়েছেন। দু’দিনের এ সম্মেলনকে ১৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমদিন শুক্রবার আটটি অধিবেশন ও শনিবার পাঁচটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় আরও ছিলেন বিসিএর সভাপতি মোহাম্মদ আইউব, বিটিএমএর সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন, ইউএসএর কটন ইনকরপোরেটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক মেসুরা, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তারসহ অনেকে।
বাংলাদেশের তুলা শিল্পের প্রসারে বিদেশি ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে দু’দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ-২০১৫’র আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিমএ) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫