ঢাকা: পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেছেন, দেশে দারিদ্র্যের হার অনেক কমে এসেছে। যদি আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোতে সমন্বয় থাকতো তবে এ হার আরও অনেক কমে আসতো।
শনিবার(২১ মার্চ‘২০১৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইক্যুইটিবিডি আয়োজিত ‘জলবায়ু উদ্বাস্তুদের অধিকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. খলীকুজ্জামান বলেন, এখানে অনেক বিখ্যাত মানুষ আছেন যারা শুধু টাকার পিছনে ছুটেন। যার কথা বললে টাকা পাওয়া যাবে এই মানুষগুলো তার কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানে(বাংলাদেশে) বড় একটা ধান্দাবাজ গ্রুপ আছে। আগে আমাদের চরিত্র পরিবর্তন করতে হবে। সাধারণকে সচেতন হতে হবে। কারা দেশের কথা ও দেশের মানুষের কথা বলছে তা দেখতে হবে। নাকি টাকার জন্য লোক দেখানো কথা বলছে সে বিষয়েও সচেতন হতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে খলীকুজ্জামান বলেন, বড় বড় দুর্যোগ আগে ৩০ থেকে ৪০ বছর পর পর হতো। কিন্তু এখন ঘন ঘন হচ্ছে এবং ক্ষতির পরিমাণও বেশি। দুর্যোগের কারণে মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এটি আগে আমরা খুব সচেতনভাবে বলিনি।
ইক্যুইটিবিডি’র প্রধান সঞ্চালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল’র রিজিওনাল পলিসি কো-অর্ডিনেটর জিয়াউল হক মুক্তা, জাতীয় কৃষক জোটের আনোয়ার ইসলাম বাবু প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডি’র সঞ্চালক সৈয়দ আমিনুল হক।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০১৩ সালে প্রায় ২২ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত(বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যস্থানে চলে যাওয়া) হয়েছেন। এশিয়ার দেশগুলোতে এ ঘটনাগুলো বেশি ঘটেছে। ২০১৩ সালে ৬০০’র বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৩৭টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিটিতে এক লাখের বেশি জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন। ২০০৮-২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ২৭ মিলিয়ন জনগোষ্ঠী প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ৮০.৯০ শতাংশই হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫