ঢাকা: গত এক বছরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশের সময় এ তথ্য জানায়।
এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
বিবিএস সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের মার্চে পয়েন্টু টু পয়েন্টের ভিত্তিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা গত অর্থবছরের মার্চে ছিল ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
ডাল, শাক-সবজি, মসলা, ভোজ্যতেল প্রভৃতির মূল্য হ্রাসের কারণে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
এদিকে মার্চে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে যা ছিলো মাত্র ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
অর্থাৎ এক বছর ব্যবধানে পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলি, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ, বিবিধ দ্রব্য ও সেবা খাতে মূল্যস্ফীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে।
তবে এ বছর মার্চে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশে, যা গত অর্থবছরের মার্চে ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের মার্চ মাসে ছিল ৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
শহরে মার্চে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ে ছিলো ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ব্যয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আয় না বাড়লে মানুষের ওপর চাপ বাড়ে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই মাসে কত হারে পণ্যের দাম বাড়ে বা কমে- সেই হিসাব বিবেচনায় এনে মূল্যস্ফীতির হিসাব করা হয়।
উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর মানে হলো, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একজন ভোক্তা একটি পণ্য ১০০ টাকায় কিনেছিলেন। আর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা কিনেছেন ১০৬ টাকা ২৭ পয়সায়। এক বছরের ব্যবধানে ওই পণ্যের দাম বেড়েছে ৬ টাকা ২৭ পয়সা। অর্থাৎ,মূল্যস্ফীতি হলো ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব আরাস্তু খান ও হুমায়ুন খালিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
এমআইএস/আরএম/এএ