ঢাকা: জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য আমদানি উদঘাটন করে ৪৩২ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ সময় দোষী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কাস্টম ও ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে ২৭৭ টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৯ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা মগবাজার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান এই তথ্য জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ন কমিশনরা এসএম সোহেল রানা, সহকারি কমিশনার উম্মে নাহিদা ও আয়শা আক্তার।
মঈনুল খান বলেন, কাস্টম হাউজ চট্রগ্রাম, মংলা এবং হিলির মাধ্যমে একটি চক্র লৌহজাত ও ধাতব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের প্রকৃতি ও ওজন বিষয়ে অসত্য ঘোষণার মাধ্যমে সরকারকে বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলেছে। পাশাপাশি দেশিয় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে রুগ্ন করে ফেলছে।
পরে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ অনুসন্ধানে নামে। এক পর্যায়ে তাদের ব্যাংক কাস্টম হাউজে দেয়া তথ্যে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়।
পরে এভাবে অন্তত ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতি ধরা পড়ে। আবার চট্রগ্রামে শুল্ক গোয়েন্দার তৎপরতায় একই প্রতিষ্ঠান মংলা কিংবা হিলি দিয়েও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য আনার চেষ্টা করেন।
মহাপরিচালক জানান, গত এক বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার উপরে এই সকল পণ্য আমদানি হয়েছে। কিন্তু গত বছরে যা রাজস্ব আদায় হয়েছে তার চেয়ে ৪৩২ কোটি টাকা এবার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে গত বছর কত রাজস্ব আদায় হয়েছে তা তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেন নি।
তিনি বলেন, অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা আদায়ের কারণে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ভীত হয়ে সরকারি পরিপূর্ণ রাজস্ব দিয়েই পণ্য আমদানি করেছে। যার কারণে রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ শুধু স্বর্ণ, জাল মুদ্রার মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে রাখেনি। তারা কর ফাঁকি, মিথ্যা ঘোষণা পণ্য আমদানি এমনকি রাস্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ২২ মাসে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ৯৯০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার ও ১১৫জনকে আটক করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫