ঢাকা: পণ্য আমদানি কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্র (ই-এলসি) বাস্তবায়নে সময় চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু, এনবিআর সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
রোববার (২৯ মার্চ) এনবিআর’র সম্মেলন কক্ষে বিজিএমইএ, বিকিএমইএ নেতারা ই-এলসি সংক্রান্ত এক সভায় সময় দাবি করলে এনবিআর অপারগতা প্রকাশ করে।
ই-এলসি বাস্তবায়নে এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের ভিন্ন মতের ফলে ই-এলসি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন এনবিআর সংশ্লিষ্টরা।
আমদানিতে গতিশীলতা, মানি লন্ডারি রোধ ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে এ পদ্ধতি চালু করে।
ই-এলসির মাধ্যমে শুল্কায়নে জটিলতা সৃষ্টি হলে ২৪ ঘণ্টা পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে, ১৮ ফেব্রুয়ারি তা পুরোদমে চালু করা হয়।
এক্ষেত্রে এনবিআর বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ব্যবসায়ীরা সব পক্ষকে প্রশিক্ষণ না দিয়েই নতুন পদ্ধতি চালু করার জন্য এনবিআরকে দায়ী করে আসছে।
এর আগে, ই-এলসির জটিলতা নিরসনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলাকে নির্দেশনা দিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বোর্ড চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনরকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, ই-এলসি ব্যবস্থায় অন্য যেকোনো উদ্যোগের মতো কিছু অসংলগ্নতা দেখা যাচ্ছে। যার অনেকটাই বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে সৃষ্ট।
তিনি বলেন, ছোট ছোট সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তি করা না হলে এ সিস্টেমের বিষয়ে সাধারণ আমদানিকারক-রফতানিকারকদের আস্থা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নজরদারি বৃদ্ধি করলে এ ধরনের সমস্যা অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব।
ই-এলসি বাস্তবায়ন বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত না করে চালু করায় সমস্যা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে শুল্কায়নে স্বচ্ছতা আসবে, বাঁচবে সময়। কিন্তু বুঝতে হবে তো! নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়ন পর্যন্ত কাগুজে পদ্ধতি চালু রাখার দাবি জানান তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্কনীতি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, পদ্ধতি জটিল নয়। বাস্তবায়নে একটু সময় লাগছে।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫