ঢাকা: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। ৩১ মার্চ, ২০১৫ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার(৩১ মার্চ’২০১৫) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মত ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করে। ওই দিন রিজার্ভ ছিল ২৩.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হার বজায় থাকায় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়তা তহবিলের (রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল) পরিমাণ ও এর ব্যবহারের আওতা সম্প্রসারণ করায় এবং রপ্তানিকারকদেরকে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন প্রণোদনার ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, প্রবাসী আয়ের সন্তোষজনক প্রবাহ অব্যাহত থাকা, বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ ও বেসরকারী খাত কর্তৃক বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়ন গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আন্তঃপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া, দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য খাতে আমদানির পরিমাণ হ্্রাসসহ বহিঃবিশ্বে খাদ্য পণ্যের দাম ও জ্বালানির দাম হ্্রাস পাওয়ায় সার্বিকভাবে আমদানি দায় হ্্রাস পেয়েছে যা বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
রিজার্ভ স্থিতি বিবেচনায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতের রিজার্ভ স্থিতি ৩৩৯.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারী পাকিস্তানের রিজার্ভ স্থিতি ১৬.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রিজার্ভের বর্তমান স্থিতি দ্বারা বাংলাদেশের পক্ষে ইন্টার্নাল বা এক্সটার্নাল যে কোন অর্থনৈতিক shock মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
বৈদেশিক মুদ্রার যথেষ্ট মজুদ একদিকে যেমন দেশের উন্নততর সার্বভৌম রেটিং প্রাপ্তিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে সরকারি/বেসরকারি পর্যায়ে অপেক্ষাকৃত কম সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ আকর্ষণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় এ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৫