ঢাকা: দেশের বিমাখাত অনিয়ম আর ফাঁকিবাজিতে খুবই দক্ষ বলে মন্ত্রব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি দুর্নীতিবাজ না বলে বলবো ফাঁকিবাজি। বিমাখাত অনিয়ম আর ফাঁকিবাজিতে খুবই দক্ষ। এটাকে উল্টাভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ফাঁকিবাজি যাতে না হয়, সেজন্যই আইডিআরএ’র জন্ম হয়েছে।
মুহিত বলেন, আইডিআরএ বেশ ভালো কাজ করেছে। ইতিমধ্যে তারা ১৩টি প্রবিধান পাশ করেছে। আইডিআরএ এখন ভালো অবস্থানে আছে। তবে এর জনবলের কিছুটা সমস্যা রয়েছে। শিগগির এ সমস্যার সমাধান হবে। এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বিমা কোম্পানিগুলোর।
বিমাখাতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের দু’টি কাজ করা জরুরি। একটি হচ্ছে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা। আরেকটি হলো, এ দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে ইন্স্যুরেন্স একাডেমিকে শক্তিশালী করা।
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটুসহ বিমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দিক থেকে বিমাখাত এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। বিমাখাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বেশকিছু নীতিমালা করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্নভাবে তা আটকে যাচ্ছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নাম পরিবর্তন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয়নি বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বিমাখাতের ধারণা তুলে ধরেন আইডিআরএ’র সদস্য মো. কুদ্দুস খান। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে এক হাজার মানুষের মধ্যে চারজন বিমার আওতায় আছে। জিডিপিতে বিমার অবদান এক শতাংশের উপরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৫