ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আবাসনে কালো টাকা বিনিয়োগ সুযোগ পুনঃপ্রবর্তন চায় রিহ্যাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৫
আবাসনে কালো টাকা বিনিয়োগ সুযোগ পুনঃপ্রবর্তন চায় রিহ্যাব ছবি: দীপু মালাকার/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আবাসন শিল্পে গত দু’বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগের দাবি জানিয়েছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বাতিল করা ‘আদেশ’ পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানানো হয় আলোচনা সভায়।

 
 
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় রিহ্যাব নেতারা এ দাবি জানান।
 
রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় দু’বছর ধরে  আবাসন খাত লোকসান গুনছে। এ লোকসান কাটিয়ে উঠতে গত অর্থ-বছরে (২০১৪-১৫) এ খাতে কালো টাকা (অপ্রর্দশিত অর্থ) বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করা হয়।
 
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় এ সুযোগের কথা উল্লেখ করলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ধারা ১৯ বিবিবিবিবি পুনঃপ্রবর্তন না করায় সে সুযোগ কাজে আসেনি।
 
তিনি বলেন, এ আদেশ পুন:প্রর্বতন না করা হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম গ্রহণের সুযোগ থাকায় দেশের অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে।
 
কালো টাকা বিনিয়োগে ইনডেমিনিটি (নিঃশর্ত) আদেশও জারি করতে হবে। কালো টাকা দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিলে বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যতে ট্যাক্স নেটের আওতায় আসবে। এতে  রাজস্বও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
 
এছাড়া আগামী অর্থবছরে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ১৯ বিবিবিবিবি বাজেটে অন্তভুর্ক্ত করার দাবি জানান তিনি।
 
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ফ্ল্যাট ও প্লট রেজিস্ট্রেশনে গেইন ট্যাক্স চার শতাংশ, স্ট্যাম্প ফি তিন শতাংশ, রেজিস্ট্রেশন ফি দুই শতাংশ, স্থানীয় সরকার কর দুই শতাংশ ও ভ্যাট তিন শতাংশসহ মোট ১৪ শতাংশ দিতে হয়।
 
রেজিস্ট্রেশন ফি অত্যধিক হওয়ায় ক্রেতারা রেজিস্ট্রেশনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এতে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রি কমে গেছে। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
 
গেইন ট্যাক্স দুই শতাংশ, স্ট্যাম্প ফি এক দশমিক পাঁচ শতাংশ, রেজিস্ট্রেশন ফি এক শতাংশ, স্থানীয় সরকার করে এক শতাংশ ও ভ্যাট এক দশমিক পাঁচ শতাংশসহ মোট সাত শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।
 
উদ্যোক্তাদের এলাকা ভেদে আয়কর হ্রাস করার দাবি জানিয়ে আলমগীর বলেন, দুই বছর ধরে গৃহায়ণ শিল্প জটিল সংকটে রয়েছে।
 
অধিকাংশ ডেভেলাপাররা উচ্চসুদে ব্যাংক ঋণ নিয়ে বর্তমানে ব্যাংক ঋণ ও সুদ পরিশোধ করতে পারছেন না। এ খাতে ক্রেতা আর্কষণ বাড়াতে উদ্যোক্তাদের আয়কর হ্রাস করার দাবি জানান।
 
ট্যাক্স হলিডের অধীন এলাকা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিকেন্দ্রীকরণ নগরায়ণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়নে বর্তমানে ঢাকা জেলা শহরে ট্যাক্স হলিডে ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
 
কিন্তু জেলা শহরে ফ্ল্যাটের চাহিদা না থাকায় এ উদ্যোগ কার্যকর হচ্ছে না। জেলাসহ মেট্রোপলিটন, ক্যান্টনমেন্ট, পৌরসভা এলাকাও ট্যাক্স হলিডের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
 
অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এসব যন্ত্রাংশে পাঁচ বছর শুল্কমুক্ত আমদানির ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
 
রাজউক, সিডিএ আওতা ও বর্হিভূত এলাকায় রেজিস্ট্রেশনে আয়কর কমানো ও প্রবাসীদের গৃহায়ণে উৎসাহিত করতে রেজিস্ট্রেশন কর হ্রাস করাসহ ১০টি দাবি জানান তিনি।
 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, আবাসন খাতকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সব করবে এনবিআর। রিহ্যাবের বিষয়ও বিবেচনা করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।