ঢাকা: নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (ইসি) নির্বাচনী বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে যাচ্ছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা।
মঙ্গলবার(৭এপ্রিল) নগরীর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প দুটি অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
আগামী ২৮ এপ্রিল ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করে ১৮ মার্চ ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায় নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
অনুমোদনের জন্য মোট ছয়টি প্রকল্প কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস্তবায়িত হবে।
উন্নয়ন প্রকল্প দুটির ব্যয় প্রায় ৪৪২ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ‘কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইমপ্রুভমেন্ট অব রোডস, ড্রেইনস অ্যান্ড ফুটপাতস অব গুলশান, বনানী অ্যান্ড বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এরিয়াস’ প্রকল্পটি একনেকে ওঠানো হবে। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
অপরদিকে নলকূপের পানির উপর নির্ভরতা কমানোর জন্যই দৈনিক ৫০ কোটি লিটার ভূ-উপরিস্থ আধার থেকে পানি সংগ্রহ করে পানের উপযোগী করা হবে।
প্রকল্পটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪২ কোটি টাকা।
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায় নতুন প্রকল্প অনুমোদন না দেয়ার জন্য ইতোপূর্বে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর পরেও একনেকে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
এই বিষয়ে রোববার বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আজমের সঙ্গে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজ তো আর থেমে থাকতে পারে না। তাছাড়া প্রকল্প অনুমোদনের কারণে ভোটাররা প্রভাবিত হয় না। ভোটররা ভোট দেন প্রার্থী দেখে। ভোটাররা কখনও প্রকল্প দেখে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন না। নির্বাচনের জন্য তো আর উন্নয়ন কাজ থেমে থাকতে পারে না।
তাছাড়া প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন হলেই তো কাজ শুরু হয়ে যাবে না। প্রকল্প হাতে নেওয়ার অনেক পরেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তবে একনেক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
তবে এই বিষয়ে সুজন সম্পাদক ড. বদউল আলম মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্প দুটি একনেকে অনুমোদন দিলে নির্বাচনে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তবে আমার মনে হয় না এতে নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সুবিধা বা কৃতিত্ব নিতে পারবেন।
কারণ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোনো জনপ্রতিনিধি ছিল না। যদি বিদায়ী প্রতিনিধি থাকতেন এবং উনি যদি নির্বাচনে অংশ নিতেন তবে বিষয়টি প্রশ্নের সম্মুখিন হত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৫
এমআইএস/কেজেড
সম্পাদনা: খুররম জামান, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাফেয়ার্স এডিটর।