ঢাকা: ২০১৩ সাল থেকে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঝিমিয়ে পড়েছিল দেশের পোশাক কারখানাগুলো। এরপর ২০১৪ সালে পোশাকশিল্প যেই না ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলো, তখনই আবার বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার খবর।
টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে বেশ ক’টি কারখানায় বেতন পরিশোধ সংক্রান্ত জটিলতা চলছিল। এ কারণেই একে একে বন্ধ হয়ে যায় বেশ ক’টি পোশাক কারখানা।
ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্ধ হয় ‘কে আর সোর্স’ নামের একটি কারখানা। কারখানাটির শ্রমিকেরা জানান, কারখানাটির আর্থিক মন্দার কারণে তারা প্রাপ্য অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
‘কাজী এন্টারপ্রাইজ’ নামে অন্য এক কারখানার মালিক দু’মাসের বেতন না দিয়ে পালিয়ে যান ফেব্রুয়ারি মাসে।
টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা বাংলানিউজকে জানান, বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর অধিকাংশ শ্রমিক শ্রমআইন অনুযায়ী সঠিক পাওনা পাচ্ছেন না। এমনকি অন্য কোনো কারখানায় কাজও পাচ্ছেন না তারা।
শ্রম আইনবিদ জাফরুল হাসান শরীফ বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ কারখানা বন্ধ হলেও শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন-ভাতা কমানোর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, কারখানা যেভাবেই বন্ধ হোক শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে কারখানার মালিক বাধ্য।
বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব কারখানার মধ্যে ১০টি কারখানা বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্য বলে বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়। এদের মধ্যে দুটি কারখানা হলো চুনজি নিট ও জেমিনি গার্মেন্টস।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) রিয়াজ বিন মাহমুদ সুমন বলেন, নানা জটিলতায় গত তিন মাসে এ কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানার শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের ব্যাপারে আমরা তদারকি করছি।
রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতারা দেশের পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের নানা প্রশ্নে জর্জরিত করছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫
জেএম