ঢাকা: একক গ্রাহকের ঋণ সীমা অতিক্রম করে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে বড় অংকের ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চার বাণিজ্যিক ব্যাংক। এমনকি ঋণ দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
এ ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চার ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংককে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (০৬ এপ্রিল) লক্ষ্যমাত্রার আলোকে অগ্রগতি পর্যালোচনার সংক্রান্ত এক বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়। বৈঠকের ২০১৪ সালের ব্যাংকগুলোর প্রতিবেদন তুরে ধরা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে ঋণ আদায় ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর জোরদার, খেলাপি ঋণ কমানো ও অটোমেশন কার্যক্রম দ্রত সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকগুলো একক কোনো গ্রাহককে তার মূলধনের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। সেই হিসেবে, সোনালী ব্যাংক একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৫৩৩ কোটি, জনতা ৫৫৪ কোটি, অগ্রণী ৪০৩ কোটি ও রূপালী ব্যাংক ২৪৪ কোটি টাকা ঋণ দিতে পারবে।
কিন্তু দায়ের করা ব্যাংকগুলোর ২০১৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই সীমা অতিক্রম করে সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংক একজন করে এবং জনতা ও রূপালী ব্যাংক চারজন করে মোট আট গ্রাহককে বড় অংকের ঋণ দিয়েছে। যা ওই বিধির পরিপন্থি।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, শুধু দুই চারজন করপোরেট গ্রাহককে ঋণ না দিয়ে উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সুরক্ষা দিয়ে ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতেও ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসকে সুর চৌধুরী বেলন, সীমা অতিক্রম করতে হলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক খাতে আর কোনো অনিয়ম দেখতে চায় না।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৫
এসই/এমএ