ঢাকা: পণ্য বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট না ধরে লাভের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে পাট শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। একইসঙ্গে রপ্তানি আয়ের ওপর পোশাকশিল্পের মতো উৎসকর দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৩০ শতাংশ করার আহবান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন দাবি জানানো হয়।
সংগঠনগুলো পক্ষ থেকে বলা হয়, কেবল বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট নির্ধারণ করলে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পাটশিল্প পোশাক শিল্পের ন্যায় দেশিয় কাঁচামাল, শ্রম ও কৃষি নির্ভর এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প। তবে পোশাকশিল্পের মতো রপ্তানি সুবিধা না পাওয়ায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে পাট।
বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান এস আহমেদ মজুমদার বলেন, আমরাও অন্য শিল্পের মতো পাটপণ্য রপ্তানি করে থাকি। তবে আমাদের এই শিল্পকে রপ্তানিপণ্য হিসেবে ধরা হয় না। অন্য রপ্তানিকারক সংগঠনকে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা দিলেও পাট এ সুবিধা পায় না। আমরা এ শিল্পে বিশেষ প্রণোদনার দাবি করছি।
তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে পাট শিল্পে লাইসেন্স নিতে ১১ হাজার টাকা দিতে হত। এখন বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। ফলে এধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ৫০০ রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান কমে ৩০০ এসে দাড়িয়েছে।
যদি সরকারি প্রণোদনা পাওয়া যায় তবে আমরা ভারতে সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারব।
সংগঠনের মহাসচিব আব্দুল বারী খান বলেন, দেশের পাট শিল্পে প্রায় ৪ লাখ মানুষ জড়িত রয়েছে। তবে এই পাটশিল্পগুলো লোকসান নিয়ে চলছে। এসব লোকসানি শিল্পের ওপরে নির্ধারণ করা উৎসে কর ব্যবসায়ীদের ওপরে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা এর মতো অবস্থা সৃষ্টি হবে। সেই জন্য উৎসকর কর্তনের পরিবর্তে মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ কর নির্ধারণ অধিক যৌক্তিক হবে বলে মনে করি।
অনুষ্ঠানে নগদ সুবিধার ওপর ৩ শতাংশ উৎসকর প্রত্যাহার ও আয়কর দশমিক ৩০ শতাংশ ধার্য করার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রাকবাজেট আলোচনায় সংস্থাটির বিভিন্ন অণুবিভাগের সদস্য, বাজেট প্রণয়ন কমিটির সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৫
এডিএ/কেজেড