ঢাকা: ষাটোর্ধ ব্যক্তি (সিনিয়র সিটিজেন) ও নিয়মিত করদাতাদের শুনানির নামে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে দ্য ইন্সটিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, করের কোনো ঝামেলার কারণে ষাটোর্ধ সিটিজেন এবং নিয়মিত করদাতাদের বার বার শুনানিতে ডাকলে তারা হয়রানির শিকার হন।
সোমবার(১৩ এপ্রিল’২০১৫) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরের বিভিন্ন অণু বিভাগের সদস্য, বাজেট প্রণয়ন কমিটি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কর্পোরেট কর হ্রাস করা ও ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোসহ বেশ কিছু দাবি জানায় আইসিএমএবি।
আলোচনা সভায় আইসিএমএবির সভাপতি সাইখুল ইসলাম বলেন, করদাতারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছেন। যারা কর দেন সবাই রাষ্ট্রের সম্মানিত ব্যক্তি। করের কোনো ঝামেলার কারণে ষাটোর্ধ সিটিজেন করদাতাদের বার বার শুনানিতে ডাকলে তারা হয়রানির শিকার হন। এ জন্য সিনিয়র ও নিয়মিত কর দেওয়া করদাতাদের শুনানিতে না ডেকে বিকল্প চিন্তা করা দরকার।
এসময় তিনি বলেন, মানুষের আয়-ব্যয়ের সামগ্রিক হিসেব বিচার করলে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা অগ্রহণযোগ্য। এটা কমপক্ষে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হওয়া দরকার।
বিদেশি ব্যাংকে কর্পোরেট কর বাড়ানোর দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সব ব্যাংকে ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ কর দিতে হয়। দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুযোগ করে দিতে ও বিদেশি ব্যাংক নির্ভরতা কমাতে বিদেশি ব্যাংকের ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ বাড়ানো দরকার।
সরকারের মানি ট্রান্সফার সেলে আইসিএমএবিকে যুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ইন্সটিটিউট অব চার্টাড একাউন্ট্যান্টস’র (আইসিএবি) ন্যায় আইসিএমএবিও মানি ট্রান্সফার সেলের কাজ করে থাকে। তবে তাদের কাজটি সরকারের সেলের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। ফলে এর সঙ্গে আইসিএমএবিকে যুক্ত করা দরকার।
অনুষ্ঠানে এনবিআর কর্মকর্তারাসহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী আসন্ন বাজেটকে কেন্দ্র করে তাদের মতামত দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫
এডিএ/এনএস/