ঢাকা: ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীগণ ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এতে করে বিব্রত অবস্থায় পড়েছে খোদ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আজম বরাবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজুরল ইসলাম খানের স্বাক্ষরিত চিঠি রোববার(১৯ এপ্রিল’২০১৫) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায় বলে সূত্র জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে(আরএডিপি) অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা সচিব নজুরল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, আরএডিপি’তে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি জেলায় কলেজ ও স্কুল নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা ঠিকাদারদের টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। সেই কারণে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আমাদের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে সেখানেও টাকা প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে করে এক হাজার কোটি টাকা দিলেও আমরা খরচ করতে স্বক্ষম হবো। ’
নানা কারণে জরুরি ভিত্তিতে ৩০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ অনুমোদিত হওয়ার পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছে। এ কারণে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ৩হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ‘নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন ও ১০০০ একাডেমিক ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু এডিপি’তে বরাদ্দ কম থাকায় প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের টাকা দিতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ৮২টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি’র চাহিদা ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৬১১ কোটি টাকা।
সূত্রে আরও জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর অতি সক্ষমতার সঙ্গে ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহে ৯০০ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করেছে।
এ পর্যন্ত ২০০টি কলেজের নির্মাণ কাজ ১০০ ভাগ, ২৭৫টির ৯০ ভাগ এবং ১৫০টির ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যার টেন্ডার মুল্য ৭৫০ কোটি টাকা। এ সকল কলেজের ভবন জুন ২০১৫ এ হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। কিন্তু আরএডিপি’তে কম বরাদ্দ থাকায় বিব্রত অবস্থায় পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্রমতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের পাওনা অর্থ পরিশোধ করা যাচ্ছে না। সেই জন্য বিব্রত অবস্থা পড়তে হয়েছে। এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতেই অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
এমআইএস/এনএস