ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রতি এমপি পাবেন ২০ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
প্রতি এমপি পাবেন ২০ কোটি টাকা পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আগামীতে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার দিয়ে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় একজন সংসদ সদস্য পাঁচ বছরে মোট ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবেন।



সোমবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি ও ব্যয় বিবেচনায় সর্বনিম্ন অগ্রগতি সম্পন্ন ১০টি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মুস্তফা কামাল বলেন, এমপিরা সরাসরি একটি টাকাও ব্যয় করতে পারবেন না। তিনি তার চাহিদা এলজিইডিকে জানাবেন। এলজিইডি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করবে। সব এলাকার জন্য এই বরাদ্দ সমান হবে।

পদ্মাসেতু, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্প (রামপাল), মেট্রোরেল প্রকল্প, এলএমজি টার্মিনাল ও কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দৃশ্যমান হবে।

এ লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় বরাদ্দ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া ৮টি মেগা প্রজেক্টে ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এ বিষয়ে পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এডিপি’র আকার হবে এক লাখ কোটি টাকা। এরমধ্যে মেগা প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর শেষে এসব মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাস্তবায়ন
কার্যক্রম দেখে আগামী বছরের বরাদ্দ দেওয়া হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জনবল বৃদ্ধিসহ সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আইএমইডির কর্মকর্তার সংখ্যা ৭৮ থেকে ১২০ এ উন্নীত করার কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এ বছর প্রকল্প বাস্তবায়নের হার কেমন হবে জানাতে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় সচিবরা আমাকে জানিয়েছেন তাদের স্ব স্ব মন্ত্রণালয় সংশোধিত এডিপি অনুযায়ী শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারবে।  

আগামী বছরের বিভিন্ন নতুন প্রকল্প নিয়েও পরিকল্পনামন্ত্রী এ সময় কথা বলেন। ঢাকা শহরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরসহ বড় বড় শহরের
নামিদামি স্কুলগুলোতে ভর্তি সংকট প্রকট। এ কারণে স্কুলের ভবনগুলোকে ১৫ থেকে ২০ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করবে সরকার। এতে করে দুই লাখ ছাত্র-ছাত্রী নতুনভাবে ভর্তির সুযোগ পাবে। গ্রামের স্কুলগুলোও তিন থেকে চার তলা করা হবে। এসব স্কুল টাইলস দিয়ে তৈরি করা হবে।

পরীক্ষার জন্য কোনো স্কুল বন্ধ থাকবে না। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্কুল খোলা রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে বলেও জানান মুস্তফা কামাল।

মহাসড়কের কাছে বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠা গ্রামীণ হাটবাজার নিয়েও কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগে প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কের পাশে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হাটবাজার করে দেবে সরকার।

বৈঠকে মন্ত্রী আরও জানান, এখন থেকে একজন প্রকল্প পরিচালককে (পিডি) একটি প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে যেসব প্রকল্প দেশব্যাপী বাস্তবায়িত হয়, যেমন একটি বাড়ি একটি খামার সেখানে একজন এনপিডি (জাতীয় প্রজেক্ট ডিরেক্টর) নিয়োগ দেওয়া হবে। তার অধীনে ৭ জন ডেপুটি থাকবেন।

বৈঠকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।