ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি কমেছে: সালাম মুর্শেদী

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫
পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি কমেছে: সালাম মুর্শেদী ছবি: কাশেম হারুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও এনটিপির হিসাব অনুযায়ী রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ২৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও এনটিপির শর্তপূরণ করতে গিয়ে ৫’শ থেকে ৭’শ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

ফলে পোশাক খাতের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ব্যপকহারে কমে গেছে।

এ মন্তব্য বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদীর।
 
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর ব্র্যাক ইনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
 
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার দুই বছর উপলক্ষ্যে ‘রানা প্লাজা ট্রাজেডিকে অতিক্রম করে একটি সমাপ্তি ও একটি পুনর্গঠন কৌশলের সন্ধানে’ শীর্ষক সংলাপ আয়োজন করা হয়।
 
সংলাপে অংশ নিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বলা হচ্ছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি কমেনি। এমন তথ্য কোনভাবেই ঠিক নয়। বাস্তবতা হলো- রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যপকভাবে কমেছে।
 
এ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও এনটিপি পরিদর্শনে ২৯টি কারখানা বন্ধ হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এরমধ্যে এনটিপি ১টি, এ্যাকর্ড ২৪টি ও অ্যালায়েন্স ৪টি বন্ধের তথ্য দিয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো- এর অভ্যন্তরে ৫’শ থেকে ৭’শ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এ থেকে সহজেই বোঝা যায়, উৎপাদন ব্যপকভাবে কমে গেছে।
 
এ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স’র সমালোচনা করে সালাম মুর্শেদী বলেন, তারা যেভাবে শর্ত দিয়েছে এবং যেভাবে প্রতিবেদন করেছে তা খুবই দুঃখজনক। এ্যাকর্ড যে প্রতিবেদন দিয়েছে তার তথ্য অনুযায়ী পোশাক কারখানায় ৫৪ হাজারটি সমস্যা রয়েছে। তারা খুবই ক্ষুদ্র বিষয়ও সমস্যা বলে উল্লেখ করেছে। সামান্য রঙ করার বিষয়টিও তারা সমস্যার মধ্যে এনেছে।
 
এমনকি অ্যালায়েন্স’র নির্দেশনা ‍অনুয়ায়ী, কারখানার জন্য দরজা আনা হলেও এ্যাকর্ড তা উপযুক্ত নয় বলেছে। যেমন আমার কারখানার জন্য অ্যালায়েন্স’র পরামর্শ অনুযায়ী চীন থেকে ২৫০ হাজার ডলারের দরজা কিনে আনি। কিন্তু এ্যাকর্ড বলছে, এ দরজা উপযুক্ত না- বলেন সালাম মুর্শেদী।
 
বিজিএমইএ’র সাবেক এই সভাপতি বলেন, অ্যালায়েন্স ও এ্যাকর্ড যেভাবে শর্ত দিচ্ছে সেভাবে সব শর্তপূরণ করা কোনভাবেই সম্ভব না। তারপরও আমরা শর্ত পালনে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
 
তিনি আরও বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বিজিএমইএ থেকে শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমাদের দায়-দেনা যা আছে আমরা পরিশোধ করবো। যদি এমন কেউ থাকেন তবে আপনারা আমাদের বিজিএমইএ’র অফিসে আসেন, আমরা আপনাদের অবস্থান অনুযায়ী পাওনা ‍বুঝিয়ে দিবো।
 
এ সময় অহত শ্রমিক জেসমিনের বিষয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, আপনি আমার কারখানায় যোগ দেন। আমি আপনার ছেলে-মেয়ের পড়া-লেখা, আপনার চিকি‍ৎসাসহ সকল খরচ বহন করবো। আপনি যে ধরনের কাজ করতে চান, যে পরিমাণ কাজ করতে চান তাই করবেন।
 
সংলাপের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
 
এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মিকাইল শিপার, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত গার্মেন্টস ও দর্জি শ্রমিক লীগ সভাপতি রায় রমেশ চন্দ্র, বিলস এর সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫
আইএইচ/এএসএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।