ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এশিয়া সামিট কোয়ালিফায়ারসে জয়ী বিক্রয়ডটকম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫
এশিয়া সামিট কোয়ালিফায়ারসে জয়ী বিক্রয়ডটকম

ঢাকা: এশালন এশিয়া সামিট ২০১৫ এর বাংলাদেশ কোয়ালিফায়ারস রাউন্ডে বিজয়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস বিক্রয়ডটকম।

সম্প্রতি এসডি এশিয়ার তত্ত্বাবধানে বনানীর নিউজরেকর্ড’এ প্রতিযোগিতাটির বাংলাদেশ রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।

এশালন এশিয়া সামিটের বাংলাদেশ কোয়ালিফায়ারস রাউন্ড মূলত বাংলাদেশি স্টার্ট-আপদের জন্য এমন একটি প্রতিযোগিতা যেখানে তারা তাদের প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ এবং হেভিওয়েট স্টার্ট-আপ শিল্পকে প্রদর্শন করতে পারে। মঙ্গলবার বিক্রয়ডটকমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

এতে বলা হয়, প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে ৮টি স্টার্ট-আপ শিল্প অংশ নেয়। এগুলো হল- কাকতাড়ুয়া (লাইভ টিভি ওর্য়াল্ড), অডাসিটি আইটি সলিউশনস (হাউ আই ওয়ার্ক), গো বিডি (গো), ট্যাপস্টার ইন্টারেকশন সফটওয়্যার লিমিটেড (লুডো ফ্রেন্ডস), বঙ্গ, স্টেলার ডাইমেনশন (বুক মার্ক), ট্র্যাক মাই ভেহিক্যাল এবং বিক্রয়ডটকম।

বিক্রয়ডটকম গত শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এশালন এশিয়া সামিট ২০১৫ এর বাংলাদেশ কোয়ালিফায়ার রাউন্ড এ ‘জাজেস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়ে এই রাউন্ডে জয়ী হয়। এর ফলে আগামী জুনে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য এশালন এশিয়া সামিট ২০১৫’এ অংশগ্রহণ করবে বিক্রয়ডটকম।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ফায়াজ তাহের স্টার্ট-আপদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিক্রয়ডটকম তাদের স্ট্র্যাটেজি ভালোভাবে পরিচালনা করেছে এবং বাংলাদেশে তাদের একটি জায়গা তৈরি হয়েছে। এটি কেবল শুরু এবং সামনে আরো অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। ”

বিক্রয়ডটকম এর মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক মিশা আলী বলেন, অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। গত কয়েক বছরে আমরা বিক্রয়ডটকমকে একটা ভালো অবস্থানে আনতে পেরেছি।

পুরস্কার পেয়ে তিনি আরো বলেন, “আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে বাংলাদেশে স্টার্ট-আপ শিল্পও অনেক ভিন্ন কিছু করতে পারে। ”

বিচারকদের একজন মুস্তাফিজুর খান বলেন, “সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আমাদের জন্য সহজ ব্যাপার ছিল না। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে পর্যবেক্ষণ করেছি এবং তিন থেকে চারজন অংশগ্রহণকারী ছিল খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানে। দিন শেষে আমাদেরকে ভাবতে হয়েছে যে, কোন টিম প্রথমবারের মতো এশালন এশিয়া সামিটে বাংলাদেশকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারবে। ”

ট্র্যাক মাই ভেহিক্যাল তাদের ভিটিএস বা ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেমের জন্য ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। এই টিমের মীর শাহরুখ ইসলাম বলেন, “জনগণের পছন্দের সেরা হতে পারাটা অনেক আনন্দের ব্যাপার। যা থেকে সহজেই বোঝা যায় যে, জনগণ ইতিমধ্যেই আমাদের পণ্য পছন্দ করেছে। আমার পিচটি ছিল খুবই সাধারণ। গাড়ি নিয়ে অনেকের অনেক সমস্যা ছিল আমি যেগুলোর সমাধান দিয়েছি। আমি তাদের গাড়িতে আরো নিরাপত্তা দিয়েছি এবং আমি মনে করি এটাই তাদের সাথে আমাদের সংযোগ করে দিয়েছে। ”

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫
আইএইচ/ জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।