ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিআইপি মর্যাদা পাচ্ছেন ৫৬ ব্যবসায়ী- শিল্পোদ্যোক্তা

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৫
সিআইপি মর্যাদা পাচ্ছেন ৫৬ ব্যবসায়ী- শিল্পোদ্যোক্তা

ঢাকা: ২০১৪ সালে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৫৬ জন ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি-শিল্প) হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয়বৃদ্ধিসহ অর্থনীতিতে অবদানের জন্য সাতটি ক্যাটাগরিতে তাদের মনোনীত করা হয়েছে।



বৃহস্পতিবার(৩০ এপ্রিল’২০১৫) তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সিআইপি মর্যাদাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১২ জন পেয়েছেন পদাধিকারবলে। তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এছাড়া বৃহৎ শিল্প খাতে ২১, মাঝারি শিল্পে ৯, ক্ষুদ্র শিল্পে ৬, মাইক্রো শিল্পে ২, সেবা খাতে ৫ ও কুটির শিল্প খাতে একজন সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন।

৭ মে আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেবেন।

পদাধিকারবলে সিআইপি মর্যাদা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন— এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি এ কে আজাদ, নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গণি শোভন, বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি তপন চৌধুরী, নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ওয়েবের সভাপতি নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, উইমেন চেম্বারের সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামস-উজ-জোহা, এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট রূপালী হক চৌধুরী, ঢাকা চেম্বারের তত্কালীন সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান ও মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রোকিয়া আফজাল রহমান।

বৃহৎ শিল্প খাতে মনোনীত সিআইপিরা হলেন— জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফ্যাব্রিকসের এমডি আব্দুস ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (নোমান), আবদুল মোনেম লিমিটেডের এমডি আবদুল মোনেম, বিআরবি কেবলের এমডি মো. পারভেজ রহমান, সুপার রিফাইনারির এমডি সেলিম আহমেদ, ফারিহা নিট টেক্সের এমডি মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম, ইসলাম রি-রোলিং মিলসের এমডি মো. আজহারুল ইসলাম, এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মো. শামসুর রহমান, পাহাড়তলী টেক্সটাইলের এমডি মির্জা সালমান ইস্পাহানি, এনভয় টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ, কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তানভীর আহমেদ, ফুজি ইংক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ফারহানা মোনেম, পলো কম্পোজিট নিটের এমডি এমএ জলিল, ইউনিভার্সেল জিন্সের এমডি মো. নাছির উদ্দিন, স্কয়ার কনজিউমার প্রডাক্টসের অঞ্জন চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, এসিআই ফরমুলেশনসের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা, প্যাসিফিক জিন্সের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলসের এমডি মো. শাহজাহান, রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ফার সিরামিকসের চেয়ারম্যান খোদেজা ফরহাদ রুহী ও জেম জুটের কাজী ইনাম আহমেদ।
 
মাঝারি শিল্প খাতের নয় সিআইপি হলেন— সিটাডেল অ্যাপারেলসের এমডি মো. মাহিদুল ইসলাম খান, বিডি সি ফুডের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হায়দার চৌধুরী, অকো-টেক্সের এমডি আব্দুস সোবহান, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশনের এমডি জেডএম গোলাম নবী, বিআরবি পলিমারের এমডি মো. মজিবর রহমান, জেমিনি সি ফুডের এমডি কাজী শাহেদ আহমেদ, বিডি ফুডস লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ তাফহীম আল-আজমী, অ্যাটলাস সি ফুডের এমডি এসএম মিজানুর রহমান ও ইগলু ফুডসের পরিচালক এএসএম মঈনউদ্দিন মোনেম।
 
ক্ষুদ্র শিল্পের ছয় সিআইপি হলেন— কিয়াম মেটালের এমডি মো. মিজবার রহমান, বেইলি ইয়ার্ন ডায়িংয়ের এমডি মো. মাসুদ জামান, ফুটবেড ফুটওয়্যারের এমডি অনিরুদ্ধ কুমার রায়, করিম স্পিনিংয়ের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, আমানত শাহ উইভিং প্রসেসিংয়ের পরিচালক লুত্ফা বেগম ও টেকনোমিডিয়ার এমডি যশোদা জীবন দেবনাথ।
 
মাইক্রো শিল্প খাতে দুই সিআইপি হলেন— আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ও এবি ফ্যাশন মেকারের স্বত্বাধিকারী সানাউল হক বাবুল। সেবা শিল্প খাতের পাঁচ সিআইপি হলেন— নাভানা রিয়েল এস্টেটের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম, এসটিএস হোল্ডিংসের এমডি খন্দকার মনির উদ্দীন, শান্তা প্রপার্টিজের পরিচালক জেসমিন সুলতানা, নাভানা লিমিটেডের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম ও শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তৌফিক এম সেরাজ। এছাড়া কুটির শিল্পে সিআইপি মনোনীত হয়েছেন জননী উইভিং ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম পরান।

সিআইপি মর্যাদা
মনোনীত সিআইপিরা এক বছরের জন্য রাষ্ট্র প্রদত্ত বিশেষ কিছু সুবিধা পান। এর মধ্যে রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া সিআইপি কার্ড; যা দিয়ে তারা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন।

সিআইপিরা ব্যবসা-সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় আকাশ, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ভিসাপ্রাপ্তি সুবিধার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। পাশাপাশি সিআইপি মনোনীত ব্যক্তি তার স্ত্রী ও সন্তানদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

বিশেষ মর্যাদায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে যে কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এমনকি কোনো কারণে জেলে গেলেও প্রথম শ্রেণির কয়েদির সম্মান পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।