ঢাকা: গার্মেন্টস কারখানাগুলোর শ্রমিকদের আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদ-উল আযহার ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গার্মেন্টস মালিকরা।
এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) গার্মেন্টস শিল্প অধ্যুষিত আশুলিয়ায় গার্মেন্টস মালিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাংলানিউজকে বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে ছুটি দেওয়া হবে। তবে দেখা গেছে, অনেক কারখানারই শিপমেন্টের সময় এসে গেছে। তাদের কাজ চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে শ্রমিক ভাই-বোনদের সঙ্গে আলোচনা করেই আরো কাজ হবে কি-না, সে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো। তবে কোনো কারখানার যদি কাজ আগেই শেষ হয়ে যায় তাহলে সে কারখানায় আগেই ছুটি দেওয়া হতে পারে। পুরোটাই আসলে নির্ভর করে আলোচনা করে কাজ করার ওপর। আমরা যেটাই করি না, কেন তা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হবে।
শ্রমিকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, কারখানার মালিকরা আগস্ট মাসের বেতন দিয়ে দিয়েছেন। আর ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঈদের বোনাসও দিয়ে দেবেন। তবে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হবে না। এক মাসে দুইটা বেতন, বোনাস দেওয়ার সক্ষমতা খুব কম কোম্পানিরই আছে।
একসঙ্গে সব কারখানার শ্রমিকদের ছুটি হলে রাস্তায় যানজট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কগুলোতে শেষ পর্যায়ের যানজটের মূল কারণ থাকে কারখানার সব শ্রমিকদের একসঙ্গে ছুটি দেওয়া। এখানে কিছুটা পরিকল্পনা করে ছুটি দিলেই আর কোনো সমস্যা হয় না। তাই আমরা দাবি করেছিলাম, যেন ২০ সেপ্টেম্বর থেকে কারখানাগুলোতে ছুটি দেওয়া হয়। তাহলে রাজপথে যানজট কিছুটা কম হতো।
আসন্ন ঈদ-উল আযহার সম্ভাব্য দিন হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে ২৪ সেপ্টেম্বর অথবা ২৫ সেপ্টেম্বর। এ কারণে শ্রমিকদের দাবি ছিলো, যেন ২০ সেপ্টেম্বর থেকে কারখানাগুলোতে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সেপ্টেম্বর মাসের অগ্রিম বেতনও দাবি করেছিলেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
ইউএম/এএসআর