ঢাকা: ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে কোরবানীর পশু হাটে জালনোট ঠেকাতে সাড়ে ৪শ জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
হাটে নগদ টাকা লেনদেনের সময় জালনোট চক্রকে ধরতে এ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে কোরবানীর পশু বিক্রিতে দু-একদিনের মধ্যেই হাট বসতে শুরু করবে। তার আগেই পুলিশ, ৠাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কাছে জাল নোট প্রতিরোধের জন্য কি পরিমান মেশিন প্রয়োজন তার চাহিদাপত্র চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
তাদেন চাহিদা মোতাবেক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাড়ে ৪শ জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে রাজধানীর হাটগুলোর জন্য ডিএমপিকে দেওয়া হয়েছে ১৭০টি আর সারাদেশের হাটগুলোর জন্য দেওয়া হয়েছে ২৮০টি মেশিন।
এছাড়া গত ঈদে ২শ টি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বিতরণ করা হয়েছিলো।
২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ৮৫৩টি জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
হাটগুলোতে ব্যাংকের এটিএম বুথ থাকবে। এসব বুথেও ব্যাংকগুলোর নিজস্ব জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন থাকবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেখানে সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখার (চেস্ট শাখা) মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে।
এছাড়া জালটাকার কারবারীদের উপর নজর রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত সম্ভাব্য কারবারী এবং জামিনে থাকা কারবারীদের উপরে বিশেষ নজর রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করেছে।
জাল টাকাসহ গ্রেফতারকৃতরা যেন আইনের আওতায় শাস্তি পায় সে ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
জালনোট প্রতিরোধে জনগণকে সচেতনতার অংশ হিসেবে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসম্বলিত ভিডিও চিত্র প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোরবানীর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে লেনদেনের সময় মেশিনের সাহায্যে নোট পরীক্ষা করে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেলসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট উল্লেখ করে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, প্রতি ঈদেই বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিপণি বিতানে জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন সরবরাহ করে থাকি। এবারের ঈদে পশুর হাটগুলোতে ৪৫০টি মেশিন দেওয়া হয়েছে।
চাহিদার প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসগুলোতে এসব মেশিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
এসই/বিএস