ঢাকা: দারিদ্র্য দূর করতে হলে মানুষকে উৎপাদনশীলতার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, শুধু টাকা দিলেই দারিদ্র্য দূর হয় না, দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না।
মতিয়া চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিন্যান্স(আইএনএফ) আয়োজিত ‘পাথওয়ে আউট অব এক্সট্রিম পোভার্টি ইন বাংলাদেশ, দ্য প্রাইম এক্সপেরিয়েন্স’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমার মতে মঙ্গা তৈরির প্রধান কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা। উত্তরবঙ্গে যখন মঙ্গা ছিলো ওই সময় ওই এলাকায় যে সফল উৎপাদন হতো তা ঠিকমতো তারা বাজারজাত করতে পারতো না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ধরলা সেতু করার পর, এর পর বঙ্গবন্ধু সেতু করার পর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। তারপর কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ সহজ হয়েছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে নানাজন নানা কথা বলেন। কেউ বলেন, ফার্নেস অয়েল কেন? কেউ বলেন, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন? অনেক কথা বলা হচ্ছে, তাই বলে কি আমরা যুদ্ধে যাবো না? আমাদের সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে যুদ্ধে গিয়েছে। এতো কথার পরও জয়লাভ করেছে। এখন সফলতা পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাস্তা ঘাট থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ ব্রিজ, সবই সরকারের বাজেট থেকে করা হয়। এরপরও একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বছরে ১০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা বরাদ্দ পান। এ টাকাগুলো কোথায় খরচ হয়, হিসেব দরকার। জবাবদিহিতা নেই। এ টাকার বড় একটা অংশই অপচয় হয়।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মঙ্গা কোনো প্রকৃতির সৃষ্টি ছিলো না। ওটা ছিলো মানুষের সৃষ্ট সংকট। মানুষের কাজ ছিলো না। বোরো ধান চাষ শুরু হলে বোরো ওঠার পর মানুষের কাজ থাকতো না। নানা কারণে মঙ্গার সৃষ্টি হতো।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, শুধুমাত্র ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব না। এর সঙ্গে অন্যান্য অনুসঙ্গও প্রয়োজন। বর্তমানে পিএসএফ ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি ঋণগ্রহীতাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এসব বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। এখন শুধুমাত্র ক্ষুদ্রঋণের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বড় ঋণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এসকে/এএসআর