ঢাকা: রাজধানীর বাজারগুলোতে ডিমের দাম কমেছে। অন্যদিকে মুরগির দাম কমলেও একেক বাজারে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকম দামে।
হাতিরপুল বাজারে শনিবার সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, দেশি ডিমের হালি ৪৮ টাকা যা গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হাঁসের ডিমের হালি ৪৫ যা গত সপ্তাহে আকারভেদে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়। আর ফার্মের মুরগির ডিমের হালি আকারভেদে ৩০ থেকে ৩২ টাকা, গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা।
একই দামে দেশি, ফার্মের ডিম ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে কারওয়ানবাজার, গুদারাঘাট বাজার ও উত্তর বাড্ডার বাজারে।
তবে হাতিরপুল বাজারে হরেক রকম দামে ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারের ভেতরে দেশি মুরগির ডিমের হালি ৪৮ টাকা যা বাইরে ৫০ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৪৫ যা বাইরে ৪৮ টাকা। আর ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ভেতরে ৯০ টাকা আর বাইরে ১০০ টাকা।
হাতিরপুল বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সামনে ঈদ থাকায় বিক্রি কমে যাবে। তাই কম দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। তবে কোরবানির ঈদের পরে ডিমের দাম আবার বাড়বে বলে জানান কামাল।
রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে দেশি মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি পিসে কমেছে ৫০ টাকা। বর্তমানে দেশি মুরগি (বড়) ২৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০ টাকা। আর দেশি মুরগি (ছোট) ২০০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ টাকা। এছাড়া পাকিস্তানি মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি পিসে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এছাড়া বয়েলার মুরগির দাম বর্তমানে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। লাল লেয়ার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বর্তমানে ১৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
এদিকে কারওয়ানবাজার ঘুরে কথা হয় ডিম ব্যবসায়ী মো. শামসুল হকের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সার্বিকভাবে গত সপ্তাহের তুলনায় হালিপ্রতি ডিমের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে। ঈদের আগে দাম আরও কমবে।
আর গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ফার্মের মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে।
এদিকে, বর্তমানে দেশি মুরগি (বড়) ২৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০। আর দেশি মুরগি (ছোট) ২০০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ টাকা।
এছাড়া পাকিস্তানি মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি পিসে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। বয়েলার মুরগির দাম বর্তমানে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০। লাল লেয়ার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বর্তমানে ১৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০।
হাতিরপুলের ফার্মের মুরগি বিক্রেতা দ্বীন মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদের কারণে মুরগির (বয়েলার ও লেয়ার) দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বাজার ঘুরে দেখা যায় কারওয়ানবাজারে মুরগি হরেক রকম দামে অল্প ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের সিরাজুল ইসলাম মুরগি আড়তে পাকিস্তানি মুরগির কেজি ২৭০ টাকা এবং প্রতি পিস ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। দেশি মুরগির কেজি ৩০০ টাকা এবং প্রতি পিস ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। গত সপ্তাহ থেকে কেজি ও পিস প্রতি ১০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারে বাবার দোয়া মুরগির আড়তে পাকিস্তানি মুরগির কেজি ২৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে এই দামেই বিক্রি হয়। আর পাকিস্তানি মুরগি প্রতি পিস বর্তমানে ২০০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকা যা গত সপ্তাহের থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়। আর দেশি মুরগির প্রতিপিস ৩০০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
এদিকে রাজধানীর গুদাঘাট বাজার ও উত্তর বাড্ডা বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ফার্মের মুরগির দাম ১০ টাকা কমেছে। এছাড়া দেশি মুরগির দাম আকারভেদে প্রতি পিসে কমেছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
এফবি/আইএ