ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এছাড়া অতীতে যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়েছিলো তাও অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে। এ সাক্ষাতেই তিনি এ আশ্বাস দেন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী এক বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, সাক্ষাতে সম্প্রতি জাতিসংঘ থেকে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পদক অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে। শিশুমৃত্যু হার হ্রাসে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে জাতিসংঘ পদক পেয়েছেন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সফলভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত এ সময় মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন, এমডিজি অর্জন, সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় কর্মসূচি গ্রহণসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়নে জাইকার সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের বিনির্মাণসহ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের অবদান এদেশের জনগণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার জনগণের হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। হাসপাতালে যন্ত্রপাতি স্থাপন, শয্যা বাড়ানোসহ ব্যবস্থাপনার মান উন্নত করা হয়েছে। গত বছর প্রায় সাড়ে ছয় হাজার চিকিৎসককে গ্রাম পর্যায়ে কাজ করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
‘এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মডেল অনুসরণে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এখন গ্রামে গ্রামে কাজ করে মানুষকে মৌলিক সেবা দিচ্ছে। শিশু স্বাস্থ্য ও নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে এই ক্লিনিকগুলো ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে’- বলেন মন্ত্রী।
এ সময় স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এসকেএস/বিএস