গাবতলী পশুর হাট ঘুরে: রাজধানীর বৃহত্তম পশুর হাট গাবতলীতে বিশেষ কিছু পশুর দাম আকাশচুম্বি। কোনো কোনো খাসির দাম চাওয়া হচ্ছে লাখ টাকার উপরে।
খাসির এত চড়া দাম প্রসঙ্গে সবুজ দাশ বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, গাবতলী পশুর হাটে আমার খাসি সব থেকে বড়। কোরবানিতে মাংসের ওজন মেপে ছাগলের দাম হয় না। অন্যসব ছাগলের থেকে এগুলি ব্যতিক্রম, দামও বেশি।
বাবুল বেপারী ও সবুজ বেপারী এবার ৪০০টি ছাগল হাটে এনেছেন। এসব ছাগল কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চল থেকে কেনা।
এরমধ্যে দুটি ছাগলের দাম আকাশচুম্বি। সাদা ও কালো ছোপ ছোপ দাগ রঙের একটি ছাগলের দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার। তবে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ক্রেতারা ছাগলটির দাম তুলেছেন ৫১ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে কালো মাথা ও পায়ের নীচে সাদা ডোরা কাটা একটি ছাগলের দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এসব ছাগল কুষ্টিয়া অঞ্চল থেকে কেনা। বয়স প্রায় চার বছরের কাছাকাছি ছাগলগুলোর। এসব বিরাট আকৃতির ছাগল ভাত খেতে ভালোবাসে বলেও জানান বেপারীরা।
অন্যদিকে সোমবার গাবতলী পশুর হাটে মোট ৯টি উট তোলা হয়েছে। এসব উটের দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আমিনবাজার এলাকার ফয়সালের খামার থেকে এসব উট গাবতলী পশুর হাটে আনা হয়েছে।
বছর খানেকআগে ২৪টি উট ভারতের রাজস্থান থেকে সংগ্রহ করে খামারটি। এরপর বছরখানেক খামারে রাখা হয় এসব উট। ২৪টির মধ্যে থেকে এবার ৯টি উট পশুর হাটে বিক্রি করতে তুলেছেন বেপারীরা। ৪/৫ মণ মাংস হবে এসব উটের, প্রতিটির দাম ৭ লাখ টাকা করে হাঁকছেন বেপারীরা। উটগুলো সবুজ ঘাস, ছোলা, চালের গুঁড়া খেতে ভালোবাসে বলে জানান তারা।
উটের দাম বেশি হাঁকা প্রসঙ্গে খোঁড়া যুক্তি দেখাচ্ছেন বেপারীরা। তাদের দাবি, ভারতের রাজস্থান থেকে একটি উট খামার পর্যন্ত আনতে দেড় লাখ টাকার উপরে খরচা হয়। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ভারত থেকে উট আমদানি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিটি উটের জন্য বর্ডারে ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। এছাড়া পথে পথে চাঁদাবাজির খরচ তো আছেই।
উটের বাড়তি দাম প্রসঙ্গে কুদ্দুস আলী মন্ডল বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, মাংসের হিসেব করে কেউ উট কোরবানি দেয় না। রাজস্থান থেকে খামার পর্যন্ত একটি উট আনতে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এক বছর ধরে খামারে লালন-পালন করা হচ্ছে। সব খরচ বিবেচনায় নিলে উটের দাম কমই চাওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
এমআইএস/এমজেএফ